ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে টানা ৫ দিনের থেকে ৬ দিনের ছুটি। চাঁদ দেখা অনুযায়ী আগামী শনিবার অথবা রবিবার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এদিকে ঈদের ছুটির পর থেকেই মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ। এখানকার টিকেট কাউন্টারগুলোতেও যাত্রীদের অধিক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় ও সাইনবোর্ডে সরেজমিনে গিয়ে এমনই দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অসহ্য গরমকে উপেক্ষা করে বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে নিজেদের গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন গ্রামমুখী মানুষজন। গাড়ির সংখ্যা বেশি ও যানজট না থাকায় যাত্রীদেরকে যানবাহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে বাস মালিকরা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক যাত্রী। তবে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাসমালিকরা।
তীব্র গরমে দুই সন্তানকে নিয়ে বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা আয়েশা আক্তারের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমি গার্মেন্টে চাকুরি করি। আমাদের অফিস গতকাল ছুটি দিয়েছে। তাই আজই পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশাল যাচ্ছি। টিকিট কাটা শেষ এখন গাড়ি চলে আসলেই হবে। তবে এবার কোনো যানজটের ভোগান্তি হবে না মনে হচ্ছে। কারণ রাস্তাঘাট পুরো ফাঁকা। তবে গরমে অবস্থা অনেক খারাপ।
নিজ গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার থেকে শিমরাইল মোড়ে এসেছেন আলতাফ হোসেন নামক এক চাকুরিজীবী। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য আজ পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি। গতবারের তুলনায় এবার মহাসড়কের পরিস্থিতি ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করছি, কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই গ্রামে যেতে পারবো।
মাহবুব আলম নামে আরেক যাত্রী জানান, তীব্র গরমে এবার কিছুটা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তবে মহাসড়কে কোনো যানজট না থাকায় দুর্ভোগ নেই বললেই চলে। সবসময়ের চেয়ে এবার মহাসড়কের আইন শৃঙ্খলা অবস্থা বেশি ভালো রয়েছে। এটা খুব ভালো উদ্যোগ প্রশাসনের।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন জানান, আজ সকাল থেকে মহাসড়কে চাপ থাকলেও কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি হোন্ডা টিম, মোবাইল টিম কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া যেকোনো যানবাহন বিকল হয়ে গেলে মহাসড়ক থেকে তা দ্রুত সরানোর জন্য রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে।
(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এসএ)

মন্তব্য করুন