জামালপুরে মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই মাদ্রাসা সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই পক্ষের ২০ জন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার বিকালে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের কড়ইতলা নামাপাড়া এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতরা হলেন— মাদ্রাসা শিক্ষক মফিজুর রহমান (৪২), তাঁর সমর্থক জনি (৩৮), আব্দুল মোতালেব (৩৭), মোত্তাকিন (৪৫), রুবেল (৩২), মিজান (৩৫) এবং মাদ্রাসা শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম (৪৫)।
আহতরা ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ পার্শ্ববর্তী শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কইড়তলা নামাপাড়া এলাকায় রাবিয়া বসরি মহিলা মাদ্রাসা (হিফজখানা) স্থানীয় বাসিন্দা মফিজুর রহমান পরিচালনা করে আসছেন। একই এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা ওবায়দুল ইসলাম জামিয়া সুলতানিয়া রওজাতুর কোরআন মহিলা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাদ্রাসায় ছাত্রী ভিড়াতে পাঠদানের বিষয়ে মফিজুর রহমান এবং ওবায়দুল ইসলাম মাঝে মধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আসছিলেন।
এরই এক পর্যায়ে শনিবার রাতে মফিজুর রহমানের সঙ্গে ওবায়দুল ইসলামের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে আজ দুপুরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ।
রাবিয়া বসরি মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান বলেন, ২০১২ সাল থেকে আমি মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছি। প্রতিবেশী ওবায়দুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপবাদ ছড়িয়ে তাঁর মাদ্রাসায় ছাত্রী ভিড়াতে দীর্ঘদিন থেকে অপকৌশল অবলম্বন করছে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওবায়দুল আমাকে মারধর করেছে। তাঁর লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
জামিয়া সুলতানিয়া রওজাতুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ঠিক নয়। মূলত আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমাকেসহ আমার লোকজনকে মারধর করা হয়েছে।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, আহতদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকা টাইমস/১১মে/এসএ)

মন্তব্য করুন