আইএমএফের শর্ত পূরণের পথে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১০:০৭ | প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৩১

বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিদ্যুতে ভর্তুকি কমানো। সেদিকে এগোচ্ছে সরকার। ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে চলতি বছর গ্রাহকপর্যায়ে তিন দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কনসালটেশন মিশনকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এদিকে ফের বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির খবরে অস্বস্তি বেড়েছে গ্রাহকের। তারা বলছেন, এমনিতেই আর্থিক টানাটানি। তার ওপর আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ালে গ্রাহকের মাথায় হাত পড়বে। এতে আর্থিক কষ্ট আরও বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে স্বল্প আয়ের মানুষের আর্থিক টানাপোড়েন।

গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে ৮ সদস্য বিশিষ্ট আইএমএফ স্টাফ কনসালটেশন মিশনের সঙ্গে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আইএমএফকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এবং আগামী বাজেটে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে তা জানতে চায় আইএমএফ। একই সঙ্গে গত মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং আগামী জুন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য বিভিন্ন পরিকল্পনার অগ্রগতিও বাংলাদেশের কাছে জানতে চায় আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি।

বৈঠকে অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, সামগ্রিক ভর্তুকি আইএমএফ নির্ধারিত সীমায় আটকে রাখতে সরকার ইতোমধ্যে সারের দাম বাড়িয়েছে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দামও তিন দফা বাড়ানো হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুই দফা এবং মার্চে এক দফা ৫ শতাংশ করে গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত নভেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার।

আইএমএফ গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর তিন দিন পর প্রথম কিস্তিতে ছাড় করে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে দেবে ঋণের পুরো অর্থ। এ ঋণ নিতে ছোট-বড় ৩৮টি শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। শর্তের অন্যতম হচ্ছে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনার মাধ্যমে সরকারের ব্যয় সক্ষমতা বাড়ানো।

ফলে গত আগস্টে পেট্রোল ও অকটেনে ৫০ শতাংশ এবং ডিজেল ও কেরোসিনে ৩৬ শতাংশ দাম বাড়ায় সরকার। শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন, হোটেল ও রেস্তোরাঁর গ্যাসের দামও গত ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়ানো হয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও গত বছরের জুনে গড়ে ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়।

অর্থ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বাবদ ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। তবুও বিদ্যুৎ বিভাগ অতিরিক্ত ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দাবি করে। পরে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে অতিরিক্ত ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/আরআর/আরকেএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ: উদ্ধার সহায়তায় বিজিবি

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের 

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ, স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩

১০ টাকায় টিকিট কেটে চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার বিচার শেষ না হওয়ার জন্য বিএনপি নেতারা দায়ী: ওবায়দুল কাদের

জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

ধরে নিয়ে যাওয়া ১০ বাংলাদেশি জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি

র‍্যাব সদস্যকে চাপা দিয়ে মারার ঘটনায় পিকআপ চালক গ্রেপ্তার

ছয় অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :