কমানো করের মেয়াদ শেষ, তবে কি বাড়ছে ভোজ্যতেলে দাম?
ভোজ্যতেলের আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের জন্য কম মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করা হয়েছিল গত বছরের মার্চে। রবিবার তার সময় শেষ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় বুধবার থেকে বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়াতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের কাছে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম সমন্বয় করার কথা বলে আবেদন করেছে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আবেদন পেয়েছি। ট্যারিফ কমিশন ৩ মে (বুধবার) মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দাম ঠিক করবে।’
বর্তমানে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিনের আনুষ্ঠানিক দাম ১৯০ টাকা। গত ১৭ নভেম্বরে বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা বৃদ্ধি করে সমিতি। তারও আগে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ১৭৮ টাকা।
গত বছরের ১৬ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তার মেয়াদ গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পবিত্র রমজান মাসের চাহিদা তিন লাখ টনের কাছাকাছি। স্থানীয় উৎপাদন হয় দুই লাখ টন। আর বাকি ১৮ লাখ টনই আমদানি করতে হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছিল এনবিআর। এ ছাড়া প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর প্রযোজ্য তিন হাজার টাকা ও পরিশোধিত চিনিতে ছয় হাজার টাকা আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে সংস্থাটি। এ সুবিধা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
(ঢাকাটাইমস/০২মে/এলএম/কেএম)