স্ত্রী-ছেলেকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, মামাকে হত্যায় ভাগ্নের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাটে পৃথক দুটি মামলায় স্ত্রী-ছেলেকে হত্যায় রেজাউল করিম ভাদু নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও মামাকে হত্যার দায়ে ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দুজনকেই পৃথক আদেশে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ নুর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া নয়াপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে রেজাউল করিম ভাদু ও জয়পুরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম পারুলিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আলাউদ্দীন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া নয়াপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম ভাদুর সঙ্গে ১৫-১৬ বছর আগে আঙ্গুরী বিবি ওরফে সোনাভানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী আঙ্গুরীর সঙ্গে রেজাউল করিম ভাদুর বনিবনা ছিল না।
এর জের ধরে ২০০৫ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে তার স্ত্রী ও ৫ বছরের ছেলে হিটলারকে ধরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি। পালিয়ে যাওয়ার সময় বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলা জিয়ানগর বাজারে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় আঙ্গুরী বিবির ভাই বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে, ২০০১ সালের ১৮ মে রাতে সদর উপজেলার পারুলিয়া সাকিন এলাকার বাড়ি থেকে মামা আব্দুর রশীদকে গল্প করার জন্য বাইরে ডেকে নিয়ে যায় ভাগ্নে আলাউদ্দীন। সে রাতের কোন এক সময় পূরানাপৈল রেললাইনের পাশে তাকে মারপিটের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন ভাগ্নে আলাউদ্দীনসহ অজ্ঞাত কয়েকজন।
পর দিন সকালে রেললাইনের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে জিআরপি পুলিশ। এ ঘটনায় (২৩ মে) নিহতের স্ত্রী সান্তাহার জিআরপি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রীর আত্মহত্যা, অপমৃত্যুর মামলা করলেন স্বামী
এ পৃথক দুটি মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এসএম)

মন্তব্য করুন