জেনেভায় ইয়ূথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের বৈশাখী মেলা উদযাপন

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধুম ধামের সঙ্গে উদযাপন করা হলো বাংলার ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা ১৪৩০। ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন সুইজারল্যান্ডের উদ্যোগে দিনব্যাপী এই বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাঙ্গালির ঐতিহ্যবাহী রং বেরঙের পোষাকে ও নানা ধরনের ব্যানার ও হরেক রকমের ফেস্টুন হাতে বাদ্যবাজনার তালে তালে বিপুল সংখ্যক বাঙ্গালি ও বিভিন্ন দেশের নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী ও শিশুদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা স্থানীর সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন সুইজারল্যান্ডের সভানেত্রী জেবুন্নেসা খান শশী ও সংগঠনের পৃস্টপোশক ও সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানের যৌথ সঞ্চালনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়।
সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সাংকৃতিক অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাদাত হোসেন, শহিদুল আলম স্বপন, গৌরিচরণ রিমি, সমিরন বড়ুয়া জিশু, রুমি বড়ুয়া, সেগুপ্ত মাহমুদ, রবিন বড়ুয়া, উৎসরী দাস, তুলি বড়ুয়া, জলি চৌধুরী, সসীম গৌরি চরন,মিলি হোসাইন, শওকত হোসেন, তানিয়া আলম, ইমরান আহমেদ আলিয়া সহ আরো অনেকে।
পৌলমী দত্তের আয়োজনে নৃত্যে অংশগ্রহণ করে ছোট বড় প্রায় ৩৫ জন শিশু শিল্পী।
শিশুদের নিয়ে একটি চমৎকার দেশীয় ফ্যাশন শোর ব্যবস্থা ও পরিচালনা করেন শশী খান।
শেষঅপরাহ্ন ১৭.৩০ ঘটিকায় আবার জমবে মেলা বটতলা হাটখোলা গান ও নিত্যের তালের মাঝে মনোজ্ঞ এই সাংকৃতিক অনুষ্ঠান মালা সমাপ্ত হয়।
আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্রর ও হরেক রকমের ১০টি পুরস্কার এবং অংশগ্রহণকারী শিশু শিল্পীদের মাঝে প্রশংসা পত্র প্রদান করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. আলামিন প্রামানিক, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রথম সচিব কামরুল ইসলাম, সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক আনোয়ারুল আজম মজুমদার শাহীন এবং সভানেত্রী শশী খান। রাফেল ড্রর প্রথম পুরস্কার জিতে নেন কণ্ঠশিল্পী গৌরি চরন রিমি।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত প্রবাসী বাঙ্গালী পরিবার পরিজন শিশু-কিশোর-কিশোরী ও নানা বয়সের প্রবাসীরা সপরিবারে-সবান্ধবে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সহযোগীতা ও অংশ নেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জামাদার, মোহাম্মদ মহসিন, আইয়ান জুনায়েদ, তারেক আল মাহমুদ সহ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহর থেকে আগত প্রবাসীরা।(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/এসএ)

মন্তব্য করুন