কনস্টেবল হয়ে এসআই পরিচয়ে বিয়ে, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর

কনস্টেবল হয়ে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেন আবুল খায়ের। পরে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করেন। এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্ত্রী হেপি আক্তার।
বুধবার বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী হেপি আক্তার বরিশাল নগরীর কাউনিয়া সোবাহান মিঞার পোল এলাকার বাসিন্দা। তার স্বামী মুন্সিগঞ্জ জেলার হোগলা উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের আসাদ সর্দারের ছেলে আবুল খায়ের।
হেপি আক্তার জানান, ২০১৮ সালে আবুল খায়েরের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় তার। তখন আবুল খায়ের নিজেকে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারেন আবুল খায়ের এসআই নন, কনস্টেবল। বর্তমানে তিনি মাদারিপুর জেলার ডাসার থানায় কর্মরত আছেন।
যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগ করে হেপি আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য মারধর করেন তিনি। এছাড়া এএসআই পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা বলে আমার বাবার বাড়ি থেকে সাড়ে তিনলাখ টাকা আনেন। এতেও ক্ষান্ত হননি, আমার গর্ভের ৩ মাসের সন্তানও নষ্ট করেছেন আবুল খায়ের।
সংবাদ সম্মেলনে হেপি আক্তার বলেন, একদিন রাতে আমাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ঘটনা মোবাইল ফোনে পরিকল্পিতভাবে ভিডিও করেন আবুল খায়ের। যেখানে আবুল খায়েরের শরীর দেখা গেলেও চেহারা উঠাননি। তবে আমার শরীর ও চেহারা স্পষ্ট। এরপর থেকে সবসময় আমাকে হুমকি দেন। কথায় কথায় বলেন তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে না গেলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ মাদারীপুর থেকে আমি বরিশালে আসার পথে গৌরনদী বসে আবুল খায়ের ও তার বন্ধু রোমান আমাকে মারধর করেন। ওই ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করি। মামলা নম্বর: জিআর ৬/১১৭-২৩।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে মনু নদীর ২৭ পয়েন্টে বাঁধ বন্যার ঝুঁকিতে
এদিকে আবুল খায়ের পুলিশ সদস্য হওয়ায় ওই মামলায় কোনো প্রতিকার পাননি, তাই সংবাদ সন্মেলন করে কনেস্টবল স্বামীর বিচার দাবি করেছেন স্ত্রী হেপি আক্তার।
(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এসএম)

মন্তব্য করুন