প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে দেশব্যাপী ডাটা সংগ্রহ শুরু, সিলেট সেবাকেন্দ্রে পরিদর্শন টিম

সারাদেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ট্রাস্ট (বিডিডিটি) মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে সিলেট প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর শবনম ফেরদৌসী ও প্রোগ্রাম অফিসার সাবরিনা তাসনীম। প্রতিনিধিদলকে সার্বিক সহযোগিতা করেন স্থানীয় কনসালট্যান্ট (ফিজিওথেরাপি) ডা. নীলিমা আহমেদ।
পরিদর্শন শেষে শবনম ফেরদৌসী বলেন, ‘দেশের ৩২টি জেলা পরিদর্শন করে প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রগুলোর বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোথায় কী ঘাটতি রয়েছে এবং কোন কোন বিষয়ে উন্নয়ন দরকার, তা নির্ধারণ করে একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেইজ প্রস্তুত করছি আমরা। ভবিষ্যতে এই তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।’
সিলেট অফিস পরিদর্শনের অভিজ্ঞতারে বিষয়ে প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর বলেন, এখানে শিশুদের জন্য খেলাধুলার কোনো ব্যবস্থা নেই। বাথরুমে প্রতিবন্ধীবান্ধব সেফটি রডের অভাব রয়েছে, যা তাদের দৈনন্দিন ব্যবহারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু কাগজে কলমে নয়, সরেজমিনে বাস্তব অবস্থার চিত্র তুলে আনার চেষ্টা করছেন জানিয়ে প্রোগ্রাম অফিসার সাবরিনা তাসনীম বলেন, ‘প্রতিটি সেক্টর ঘুরে ঘুরে পর্যালোচনা করেছি আমরা। সেবার পরিধি, থেরাপি রুমের অবস্থা, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির পরিমাণ, সেবাপ্রাপ্তদের অভিজ্ঞতা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের মতামত নথিভুক্ত করেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো, মাঠপর্যায়ের প্রকৃত চাহিদার ভিত্তিতে একটি বাস্তবসম্মত ও টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা, যাতে করে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়।’
ডা. নীলিমা আহমেদ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে কিছু অভাব-অভিযোগের কথা জানিয়ে আসছিলাম। যেমন—শিশুদের মানসিক বিকাশে উপযোগী পরিবেশের অভাব, চলাচলের উপযোগী অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা এবং প্রয়োজনীয় থেরাপি যন্ত্রপাতির ঘাটতি। ঢাকা অফিসের প্রতিনিধি দল অত্যন্ত আন্তরিকভাবে বাস্তব পরিস্থিতি সরাসরি দেখেছেন এবং সেগুলো গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছেন। আশা করি, ভবিষ্যতে এসব বিষয় উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হবে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই পরিদর্শন কর্মসূচি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে আধুনিকায়ন, সেবার বিস্তার এবং নীতিগত পরিকল্পনা তৈরির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
(ঢাকাটাইমস/১৪মে/মোআ)

মন্তব্য করুন