কেমন বাংলাদেশ চাই

কাদের গনি চৌধুরী
  প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১৯:১৪| আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ২০:৩৩
অ- অ+

চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ থেকে মুক্তি পেয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বিগত ১৬ বছর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে সোনার বাংলাকে পরিণত করা হয়েছিল মৃত্যু-উপত্যকায়। ফ্যাসিস্ট শাহির ভয়ংকর সময়ে দেশের মানুষ ছিল অধিকারহারা। দেশে গণতন্ত্র ছিল না। মানবাধিকার ছিল না। আইনের শাসন ছিল না। ভোটাধিকার ছিল না। বাকস্বাধীনতা ছিল না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল না। ন্যায়বিচারের ব্যাংক হয়ে হয়ে পড়েছিল দেউলিয়া। মানবতার কোষাগার শূন্য হয়ে পড়েছিল। ছিল না স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি।

পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরাও রেহাই পাননি শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসন থেকে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আফতাব আহমদ, সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি, অ্আডভোকেট এ ইউ আহমদ, ব্যাংকার বি এম সাকের হোসাইনসহ অসংখ্য পেশাজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরে জীবন দিতে হয় ৬৮ জন সাংবাদিককে। পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। শাপলা চত্বরে ব্রাশফায়ারে অনেক আলেমকে হত্যা করা হয়। গুম-খুন ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদ, শিক্ষক, ব্যাংকার থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কর্মী- কেউ রেহাই পায়নি শেখ হাসিনার নিষ্ঠুরতা থেকে।

চাকরি, পদোন্নতি হতো দলীয় বিবেচনায়। ভিন্নমতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তিমূলক বদলি, পদোন্নতিবঞ্চিত ও চাকরিচ্যুতি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং র‌্যাব গোপন টর্চার সেল আয়নাঘর তৈরি করে সেখানে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর চালানো হতো বর্বর নির্যাতন।

ভোটাধিকার হরণ, ভিন্নমত দলন, বিনাবিচারে মানুষ হত্যা, গুম-খুন, ক্রসফায়ার, নির্যাতন-নিপীড়ন, গায়েবি মামলা, দুর্নীতি, লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচার, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাংকের ভল্টে সোনা জালিয়াতি, বিমানবন্দরের ভল্ট থেকে সোনা চুরি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংক লুট, শোষণ-বঞ্চনা এমনভাবে বেড়ে ছিল যে, দেশ মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

এমনি পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক জোটের পক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক দফার ডাক দেন। এরই মধ্যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্ররা তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। ছাত্রদের পক্ষে এসে দাঁড়ায় পেশাজীবীরা। রাজপথে নেমে আসে অভিভাবক ও রাজনৈতিক কর্মীরাও। হাসিনার নির্দেশে তাদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ এল। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি নির্বিচারে গুলি চালালো ছাত্রদের বুকে। সারি সারি লাশ পড়ে থাকলো রাস্তায়। হাসপাতালগুলোর বেড এমনকি মেঝে পর্যন্ত পরিপূর্ণ হয়ে যায় আহত ও গুলিবিদ্ধ ছাত্র দ্বারা।

তারপরও ছাত্ররা থামলো না। তাদের ওপর বিমান থেকেও চালানো হলো গুলি। একজন নয়, দুজন নয়- চৌদ্দ শ ছাত্রকে হত্যা করা হলো। দমানো গেলো না ছাত্রদের। দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙার এক অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান দেখলো বাংলাদেশ। দেড় যুগ ধরে নিপীড়িত মানুষের ক্ষোভের বারুদ বিস্ফোরিত হলো চব্বিশের জুলাই-আগস্টে। পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। উল্লাসে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে কোটি জনতা।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়েছিল। ৫৩ বছর পর স্বাধীন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে বুকে মাথায় লাল সবুজের গর্বিত পতাকা নিয়ে আরো এক বিজয় অর্জন করলো তেজোদীপ্ত তারুণ্য। তাদের দৃঢ় প্রত্যয়ে পাশে এসে দাঁড়ানো পেশাজীবীসহ স্বতঃস্ফূর্ত জনতার অকুণ্ঠ সমর্থন জন্ম দিল এক উজ্জ্বল চব্বিশ-এর। জনগণ যার নাম দিয়েছে দ্বিতীয় বিজয়

এই দ্বিতীয় বিজয় হতাশ জাতির মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে। মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। বেড়েছে জনপ্রত্যাশাও।

আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ

আমাদের প্রত্যাশার কথা যদি বলি, আমরা চাই এমন একটি দেশ যেখানে দুর্নীতি, হানাহানি, গুম, খুন, রাহাজানি, ক্রসফায়ার, ধর্ষণ থাকবে না; নাগরিক নির্যাতনের জন্য থাকবে না আয়নাঘর। থাকবে না বৈষম্য, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, বাজার সিন্ডিকেট, ক্ষমতার অপব্যবহার। থাকবে না মব জাস্টিস।

আমরা একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র চাই, যে রাষ্ট্র সব নাগরিকের কল্যাণে কাজ করবে।

আমরা সেই রাষ্ট্র চাই, যেখানে সব নাগরিক সমঅধিকার ভোগ করবেন। কোনো বৈষম্য থাকবে না। চাকরির ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনা নয়, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ-পদোন্নতি হবে।

আমরা এমন একটা রাষ্ট্র চাই, যার মালিক হবেন দেশের জনগণ।

আমরা নীতিভিত্তিক রাষ্ট্র চাই, নেতাভিত্তিক নয়। যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে তাদের। এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নয়, জনগণের ইচ্ছায় দেশ পরিচালিত হবে। আমরা চাই জনগণই ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। দিনের ভোট রাতে হবে না। হবে না ডামি নির্বাচন। প্রহসনের নির্বাচন কিংবা কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে জনরায় কেড়ে নেয়া হবে না।

নতুন বাংলাদেশকে আমরা স্বাবলম্বী দেখতে চাই। সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া দুর্নীতির অবসান চাই। একটা শোষণমুক্ত সমাজ চাই। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রশাসন চাই। আমরা সর্বত্র ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন চাই। আমরা আর কোনো বিচারপতির মুখে শুনতে চাই না টুথ ইজ নো ডিফেন্স

আমরা এমন এক দেশ চাই, যেখানে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ, জাতি-ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, মতাদর্শ নির্বিশেষে সবাই নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে সর্বোচ্চ মর্যাদা পাবে। সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের স্বীকৃতি ও অধিকার সুরক্ষা পাবে। সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানুষকে সম্মান করবে সর্বোচ্চ সেবা দেবেন। মোদ্দা কথা, আমরা দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিমূলক এবং ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ দেখতে চাই। মানবিক বাংলাদেশ।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে সংস্কার চাই। এ বাহিনী যেন রাজনৈতিক দলের আজ্ঞাবহ বা দলীয় ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনীতে পরিণত না হয়।

এমন এক রাষ্ট্র কল্পনা করি, যেখানে নৈতিকতা, মানবিকতা, ন্যায়বিচার, সমতা এবং স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে। সমাজে দারিদ্র্যের শিকার কেউ হবে না, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে।

সরকারের ভূমিকা হবে নমনীয়, প্রয়োজনমতো কঠোরতা ও মানবিকতা প্রদর্শন। বিরোধী দলকে শোষণ না করে, সব দলের মূল লক্ষ্য হবে রাষ্ট্রের উন্নয়ন। একটি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংবিধানের মাধ্যমে জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে বৈষম্য দূর হবে। বিনা খরচে মানসম্মত শিক্ষা ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। কথায় কথায় ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি হবে না।

সম্পদের সুষম বণ্টন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অর্থনৈতিক সমতা আনা হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। নারীর ক্ষমতায়ন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি থাকবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক নীতি থাকবে। আমরা আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চাই না।

আমরা আশা করি, সুশৃঙ্খল ও সমৃদ্ধতায় আমাদের এই দেশ হবে এমন এক আইডল, যা দেখে পিছিয়ে পড়া দেশগুলো শিক্ষা নেবে। বাংলাদেশের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকাবে। আমাদের এই মাতৃভূমিতে একজন লোকও না খেয়ে থাকবে না। রাস্তায় ধুলো-মলিন দিন কাটাবে না কোনো শিশু। কেউ কাউকে ধোঁকা দেবে না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করবে না। অন্যের ক্ষতি করবে না। অন্যের দুঃখে ব্যথিত হবে, পাশে দাঁড়াবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে।

নারীদের জন্য চাই মায়ার চাদরে ঘেরা অকৃত্রিম প্রেমের বাংলাদেশ। লজ্জিত ও লাঞ্ছিত হবে না একজন মা-বোনও। ঘরে-বাইরে, চাকরিস্থলে তারা থাকবেন নিরাপদ।

বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জন্য চাই বিশুদ্ধ মায়া ও শ্রদ্ধার বাংলাদেশ। কউ আর নিজেদের বৃদ্ধ বাবা-মাকে বোঝা মনে করবে না। বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নিতে হবে না কোনো বাবা-মাকে।

দীর্ঘদিন বাংলাদেশ বিভেদ আর বিভক্তির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়েও ছিল টানাপোড়েন। অন্যায়-অনিয়ম, লুটপাট, সন্ত্রাস, মূল্যস্ফীতি, ভোট চুরি, ক্ষমতার অপব্যবহার ছিল নিত্যদিনের চিত্র। অতীত ও পুরনো দিনকে প্রত্যাখ্যান করে ছাত্র-জনতা নতুন বাংলাদেশের সূত্রপাত করেছে।

আজ আমাদের সবচেয়ে বড় দরকার নিজেকে পাল্টানো। আমরা সবাই বাংলাদেশের পরিবর্তন চাই, কিন্তু নিজের পরিবর্তন করতে নারাজ। ব্যক্তি বা নাগরিক কেমন হওয়া উচিত- এটা সবাই জানি মোটামুটি। এবার শুধু জানলেই হবে না বরং মানতে হবে আমাদের। সততা, দেশপ্রেম, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা আর ভালোবাসার মানদণ্ডে এগিয়ে থাকতে হবে প্রতিটি নাগরিককে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, মব জাস্টিস ও অন্যায়কে না বলার সাহস থাকতে হবে প্রতিটি নাগরিকের। নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে, তাহলেই সামগ্রিক পরিবর্তন সহজ হবে।

দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে হবে। এতো দিন দুষ্টরা ছিল রাষ্ট্র ও সমাজের কর্ণধার। আর এই মুহূর্তে দুষ্টদের দমন করে শিষ্টের লালন করতে হবে সবাইকে। অপরাধী যেই হোক, তার বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি বিনা দোষে কাউকে ন্যূনতম কষ্ট যেন না পেতে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি বিবেককে জাগ্রত রেখে তারপর সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে হবে।

সিস্টেম বা নীতির পরিবর্তন আনতে হবে।

এতো দিন নেতার পরিবর্তন হলেও নীতির পরিবর্তন দেখিনি। এবার নীতির পরিবর্তন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। ক্ষমতার রাজনীতি নয় বরং কল্যাণের রাজনীতি দেখতে চাই। রাতে ভোট চুরি করে আর দিনের বেলায় ভোট সুষ্ঠু হয়েছে- এই মর্মে বক্তব্য শুনতে চাই না আর। নিজ দলের বিরুদ্ধে ভেটো দিলে এমপি পদ স্থগিত করার মতো বাজে সিস্টেমগুলোর পরিবর্তন চাই। রাষ্ট্রের সব স্তরে সুশাসন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ভ্রাতৃত্বের বাংলাদেশ চাই।

চাই ক্ষমতার সুষম বণ্টন। কেউ দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য চাই। পারিবারিক কোটায় রাজনীতিকে সীমাবদ্ধ করা হবে না। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সচল করা এবং সেখানে দায়িত্বশীল সবার স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা চাই সবকিছুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ নতুন এক বাংলা, যেখানে রাজনীতিতে থাকবে স্বকীয়তা, অর্থনীতি হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। জীবন যাপন হবে স্বাধীন ও জবাবদিহিতায় এক অনন্য অসাধারণ জীবনমানের।

একটা বনের স্বাধীন পাখিকে খাঁচায় বন্দি করে যতই আদর-আপ্যায়ন করা হোক না কেন, এই অবকাঠামোগত উন্নয়ন আর জামাই আদর পাখির কাছে পছন্দ হবে না।

মুক্ত-স্বাধীন পাখিটি চায় খোলা আকাশে ওড়ার স্বাধীনতা।

আমরা অবকাঠামোগত দিক দিয়ে উন্নত হচ্ছি ঠিকই, কিন্তু সেই সাথে বিসর্জন দিতে হচ্ছে ওই পাখিটির মতো খোলা আকাশে ওড়ার স্বাধীনতা! আমরা গণতন্ত্র চাই। আমরা ভোটাধিকার ফেরত চাই। আমরা চাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই দেশ পরিচালনা করুক।

সর্বশেষ, তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ চাই। তরুণদের জন্য অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। তরুণরাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের দেশে।

লেখক: সদস্য সচিব, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এবং মহাসচিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ব্যবসা উন্নয়ন মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাকৃবি ছাত্রশিবিরের জুলাই স্মৃতি লিখন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী
পরিবহন সেক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: শিমুল বিশ্বাস
পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যায় ভূমিধসে ৩০৭ জনের মৃত্যু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা