আইসিটি বিভাগের সঙ্গে ‘আমি প্রবাসী’র সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, ২০:০৭ | প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২৩, ১৯:৫২

আইসিটি বিভাগের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার ঢাকার আইসিটি টাওয়ারস্থ বিসিসি মিলনায়তনে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ বিদেশগামী কর্মীদের সহায়তার জন্য সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশি প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তৈরি। বিশ্বে এমন অ্যাপ এটাই প্রথম।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রবাসীদের ডাটা ব্যাংক সংরক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান। এমন স্মার্ট একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আমি প্রবাসী লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান।

আমি প্রবাসীর সাফল্যে অভিভূত হয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মতে ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অব দা ফাস্টেস্ট গ্রোইং অ্যাপ আমি প্রবাসী অ্যাপ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতো বেশি ডাউনলোড এবং এতো চমৎকার ব্যবহার উপযোগী অ্যাপ তৈরির জন্য ও এই উদ্যোগে কোনো ত্রুটি খুঁজে না পাওয়ায় তিনি উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।

প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আইসিটি ডিভিশনের সঙ্গে আমি প্রবাসীর মেলবন্ধন প্ল্যাটফর্মটিকে সামনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং ভবিৎষ্যতে প্রবাসীদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ, মার্কেটপ্লেস, রেমিট্যান্স সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা যাবে।

তিনি বলেন, বিদেশ যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের জন্য আরও পরিষেবা সংযোজন করে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করতে আইসিটি বিভাগ আমি প্রবাসীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ, এমপি। তিনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয়পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, প্রবাসীদের জন্য দ্রুত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। আর প্রবাসীদের সব সুবিধা একই প্লাটফর্ম আসতে শুরু করায় অনলাইন সেবা পেতে শুরু করেছেন বিদেশগামী কিংবা প্রবাসীরা।

মন্ত্রী তার বক্তব্যে সেবা প্রদান সহজীকরণের ক্ষেত্রে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে আমি প্রবাসী লিমিটেড একটি উদাহরণ বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ লাখ ব্যবহারকারী আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে সেবা পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, অ্যাপটি তৈরিতে সার্ভিস চার্জ ভিত্তিক মডেল অনুসরণ করায় এতে সরকারের কোনো ব্যয় হয়নি।

মন্ত্রী বলেন, জনবান্ধব সেবা প্রদানে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান পদ্ধতিটিকে আরও সহজ করেছে। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত বিদেশগামী কর্মীদের বিএমইটি নম্বর ‘সুরক্ষা’য় প্রেরণ করে অভিবাসী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রদানের প্রস্তাব রাখলে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে মহামারীর মাঝে আমি প্রবাসী দশ লাখেরও বেশি নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এতেও সরকারের কোনো অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়নি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, যুগ্ম সচিব মো. আতাউর রহমান খান। অনুষ্ঠানে আমি প্রবাসী লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার ও সিইও নামির আহমেদ নুরি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের হয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

নামির আহমেদ নুরি তার বক্তব্যে আমি প্রবাসী অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টালের বিভিন্ন ফিচার এবং তার সাফল্য তুলে ধরেন। আমি প্রবাসী থেকে প্রাপ্ত বিশাল ডেটা কীভাবে বাংলাদেশ সরকারকে অভিবাসন খাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে তার সবিস্তারিত তথ্য তার আলোচনায় উঠে আসে।

উল্লেখ্য যে, বিদেশগামী কর্মীদের সহায়তার জন্য সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশি প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তৈরি বিশ্বে এমন অ্যাপ এটাই প্রথম।

অনুষ্ঠানে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে তারুণ্যর শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এগিয়ে চলা দেশে আমি প্রবাসী লিমিটেড আরও অবদান রাখবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।

ঢাকাটাইমস/২১জুন/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :