অবশেষে মুক্তি পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা

দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ফাঁসির দণ্ড রহিত হওয়ার পর তিনি যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করেন। পাঁচ বছর ৭ মাস সাজা রেয়াত পাওয়ায় দীর্ঘ ২৪ বছরের কারা জীবনের অবসান হলো এ মুক্তিযোদ্ধার। রবিবার দুপুরে কুমিল্লা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন।
গতকাল কুমিল্লা কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভ্যর্থনা জানান ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, কুমিল্লা জেলা সভাপতি এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তরিকুর রহমান জুয়েল, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, প্রচার সম্পাদক শাহ পরান সিদ্দিকী তারেক প্রমুখ।
এ সময় মুক্তিপ্রাপ্ত রাখাল চন্দ্র নাহা তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ডে তিনি বলেন, ‘ফাঁসি নিশ্চিত জেনে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। সাংবাদিক সমাজ, আমরা মুক্তযোদ্ধার সন্তান এবং বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর চেষ্টায় আমার ফাঁসি মাফ হয়, আমি নবজীবন লাভ করি। একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্য মানুষের ভালবাসা দেখে আমি এটাই বুঝেছি যে, ৭১ এ যুদ্ধে গিয়ে ভুল করিনি।’
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’র কেন্দ্রীয় সভাপতি হুমায়ূন কবির বলেন, ‘স্বাধীন দেশে একজন নিরপরাধ মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসি মেনে নিতে পারিনি বলেই আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। আজ সেই আন্দোলন পূর্ণতা পেল। আমারা এখন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার সুচিকিৎসা এবং পুনর্বাসন চাই।’
(ঢাকাটাইমস/০৩জুলাই/এফএ)

মন্তব্য করুন