ফিলিস্তিন নিয়ে বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিশ্চুপ থাকা দুঃখজনক: তথ্যমন্ত্রী

পান থেকে চুন খসলেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিবৃতি দেয়। কিন্তু ফিলিস্তিনে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাতে পৃথিবীর মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিশ্চুপ। এটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘চলচ্চিত্র শিল্পের উত্থানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, পান থেকে চুন খসলেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিবৃতি দেয় বা অনেক ক্ষেত্রে বিবৃতি বিক্রি করে কিন্তু ফিলিস্তিনে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তাতে পৃথিবীর মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিশ্চুপ। এটা দুঃখজনক। যেসব দেশ বিভিন্ন সময় মানবাধিকার নিয়ে অন্য দেশগুলোকে কথা পরামর্শ দেয়, তাদের বক্তব্য খুঁজে পাচ্ছি না। এটা দুঃখজনক।

তথ্যমন্ত্রী নিন্দা জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি শিশুদের পাথরের জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে। বোমা বর্ষণ করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। যারা পৃথিবীতে মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, তাদের নীরবতা আরও বেশি দুঃখজনক।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি জোটে আসলে কতটি দল আছে, সেটা নিয়ে একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। বিএনপির অনেকটা অ্যামিবার মতো। অ্যামিবা কখনো নিজেকে দ্বিখণ্ডিত করে, বাড়ে। বিএনপি কখনো ১২ দল বা আবার ৩৬ দল। আসলে এই দল গুলোর নাম বিএনপি মির্জা ফখরুল মুখস্থ বলতে পারেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যাদের কাছে গিয়ে ধরনা দেন, তাদের মধ্যে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেছেন হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও করা যাবে না। এগুলো গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে। তারা যে ক্রমাগতভাবে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করেছেন, সেই কথাটি ইইউ রাষ্ট্রদূতের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এটি বিএনপির অপরাজনীতির ওপর একটি বিরাট চপেটাঘাত।

হাছান মাহমুদ বলেন, অর্থনীতির সূচকগুলো গত কিছুদিন ধরে অত্যন্ত ভালোর দিকে। আমাদের অর্থনীতির চাকা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

ব্যবসায়ী, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাদের একটি ট্রেন্ড হয়ে গেছে, ইচ্ছামতো দাম বাড়ানোর এমন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার কাঁচা মরিচের দাম কমানোর জন্য ভারত থেকে আমদানির সুযোগ দিয়েছে। ভারত থেকে আগে আমদানি হয়নি। এরপরও এখন কিছু কিছু ব্যবসায়ী, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাদের একটি ট্রেন্ড হয়ে গেছে, ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দেওয়া। ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করছে। যারা দাম বাড়িয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্ব অঙ্গনে কীভাবে নিয়ে যাওয়া যায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, সুদীপ্ত কুমার দাস, শাহিন সুমন, আব্দুল লতিফ বাচ্চু চিত্র নায়িকা ও প্রযোজক অপু বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।

ঢাকাটাইমস/৬জুন/জেএ