কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ডের জন্য বাংলাদেশিদের আবেদনের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৫ মে ২০২৪, ২০:২০
অ- অ+

এশিয়ার অন্যতম নারী আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন কমলা ভাসিন। তার মৃত্যুর পর ২০২১ সাল থেকে তার নামে “কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ডস-ফর ড্রাইভিং জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যাক্রস সাউথ এশিয়া” চালু হয়৷ তবে এই অ্যাওয়ার্ড সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষ না জানার কারণে গত বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ আবেদন করেনি। তাই অ্যাওয়ার্ডটিতে আবেদনকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণে একটি অবহিতরণ সভা করেছে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড কমিটি।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে “কমলা ভাসিন পুরস্কার” বিষয়ক এই অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় পুরস্কার কমিটির সদস্য এবং আজাদ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী দোলন গাঙ্গুলী বলেন, “২০২২ এবং ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবেদন করলেও বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে কোনো আবেদন জমা পড়েনি। যেহেতু কমলা ভাসিন সত্যিকার অর্থেই নিজেকে একজন দক্ষিণ এশীয় ভাবতেন, তাই এই পুরস্কারের দক্ষিণ এশীয় প্রকৃতি বজায় রাখতে বাংলাদেশ থেকেও অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যেকোনো ব্যক্তি এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন।”

সভার শুরুতে মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সভার উদ্দেশ্য এবং কমলা ভাসিন-এর অবদান সম্পর্কে কথা বলেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে কমলা ভাসিনের লেখক, কবি, শিশু সাহিত্যিক সত্ত্বা এবং সমাজবিজ্ঞানে তার অবদান আর পাণ্ডিত্যের কথা৷

তিনি বলেন, “২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কমলা ভাসিনের মৃত্যুর পর তার জীবন উদযাপন এবং জেন্ডার সমতার উদ্দেশ্যে তার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া সমবেতভাবে “কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ডস-ফর ড্রাইভিং জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যাক্রস সাউথ এশিয়া”-র সূচনা করে।”

প্রতি বছর নারী ও পুরুষ দু’টি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। যে নারী (সিস অথবা ট্রান্স) প্রথা-বহির্ভূত বা অপ্রচলিত পেশায় সফলভাবে কর্মরত এবং যে পুরুষ (সিস অথবা ট্রান্স) জেন্ডার সাম্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করেন তারা এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সভায় জানানো হয়, এই অ্যাওয়ার্ডে বিচারক হিসেবে আছেন দক্ষিণ এশিয়ার স্বনামখ্যাত নারী অধিকার ও মানবাধিকার কর্মী, সমাজসেবী, সাংবাদিকসহ প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গ। প্রতিটি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় এক লাখ টাকা। অর্থমূল্য ছাড়াও পুরস্কৃত ব্যক্তি দক্ষিণ এশিয়ার সমাজকর্মীদের নেটওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবেন। পুরস্কারের আবেদনের ঘোষণা হয়েছে গত ৮ই মার্চ এবং আবেদনের শেষ তারিখ ৭ই জুন। ভারতের নয়াদিল্লির হ্যাবিট্যাট সেন্টারে আগামী ৩০শে নভেম্বর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হবে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন, সাংগাত বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি কোর গ্রুপের সদস্য অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা।

(ঢাকাটাইমস/১৫মে/এমআই/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩, নিখোঁজদের সন্ধান চলছে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত
ঢাকাসহ দেশের ৭ জেলায় ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
আজ পবিত্র আশুরা শোক ও ত্যাগের মহিমাময় দিন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা