আমরা বারবার সাপ-লুডুর কাটায় পড়ে নিচে নামি: নজরুল ইসলাম খান

দেশের পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশের মানুষের বারবার জীবন দেওয়ার পরও বারবার পিছিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উন্নতি হয়। আর আমরা বারবার সাপ-লুডুর কাটায় পড়ে নিচে নেমে আসি।’
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এত জীবন দেয়ার পরও এখনো অসংগতি নিয়ে আলোচনা হয়। আর কত জীবন দেবে এদেশের মানুষ?
আজ শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ কতটুকু সুরক্ষা দেয়?’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সেমিনারটি আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বালাদেশের মানুষ ভাষা আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসন শাসন, গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর ছাত্র আন্দোলন এবং ২৪-এর জুলাই-আগস্টসহ বিভিন্ন আন্দোলনে অনেক জীবন দিয়েছি। এত জীবন দেয়ার পর এখনও অসংগতি নিয়ে আলোচনা হয়, এটা কেন হবে?’
আর কত জীবন দেবে এবং লড়াই করবে এদেশের মানুষ- এমন আক্ষেপ করে বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘মানুষ প্রাইমারি থেকে হাই স্কুলে ওঠে, হাই স্কুল থেকে কলেজে যায়, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ উন্নত হয়। আস্তে আস্তে মানুষের পরিবর্তন হয়। আর আমরা বারবার যেন সাপ-লুডুর মতো এগিয়ে গিয়ে আবার সাপে কেটে নিচে নেমে আসি। আবার আগানোর চেষ্টা করি। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
সাবেক এই শ্রমিক নেতা বলেন বলেন, ‘দেশে শ্রম আইনে আছে, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগ পত্র দিতে হবে। কিন্তু যত শ্রমিক আছে তার ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিক নিয়োগপত্র পায় না। তাদের গ্রাচুইটিসহ সুবিধা দেয়া হয় না, যা শ্রম আইনে লেখা আছে।’
দেশের নারী, শিশু, যুবক, শ্রমিক- সবার জন্য আইন আছে- এ কথা উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কিন্তু তারা কি আইনের বিষয়ে কিছু জানেন, বোঝেন, বা সুফল ভোগ করতে পারেন? প্রত্যেক রাজনীতির দলে যারা প্রতিনিধিত্ব করেন, তাদের উচিত সবাইকে আইন বুঝিয়ে দেয়া, আইনের সুফল বোঝানো। আর যদি তা না করা হয়, সাধারণ মানুষ সেই তিমিরেই থেকে যাবে।’
যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে তারা যদি আইন প্রয়োগে কোনো ভুল করেন, ইচ্ছাকৃত ভুল এবং তারা যদি অন্যায়ভাবে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে জনগণের ওপর নিপীড়ন চালান, তাদের শাস্তির বিধান কোথায়? প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সুরক্ষা আইন আছে। এসব আইন যারা কার্যকর করবে, তারাই ক্ষমতার অধিকারী হবে রাষ্ট্রের মাধ্যমে। তাদের প্রত্যেককেই দায়বদ্ধ ও জবাবদিহির আওতায় রাখতে হবে।’
(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন