লক্ষ্মীপুরে সংঘর্ষে নিহত সেই যুবক কৃষকদল নেতা, মিলেছে পরিচয়

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। তার নাম মো. সজিব হোসেন। তাকে আগে যুবদল নেতা দাবি করেছিল বিএনপি। তবে সজিব কৃষক দলের সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু।

তিনি বলেন, ‘সজিব হোসেন সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের আবু তাহেরের। সজিব চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষক দলের সদস্য ছিলেন।

মঙ্গলবার বিকাল ৬টার দিকে লক্ষ্মীপুরে মদিন উল্যাহ হাউজিংয়ের একটি বাসার সিঁড়ি রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

এর আগে এদিন বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর শহরের মজুপুর, চকবাজারসহ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে এ সংঘর্ষ হয়।

জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন ও সদর (পূর্ব) উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বাবু জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রথমে কলেজ রোড এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে।

এরপর রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর গুলি ছুড়তে থাকে।

এতে জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইব্রাহিম গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। জেলা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, হাসপাতালে আহত অবস্থায় অনেক রোগী এসেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধও রয়েছে।

জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, মৃত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলায় অংশ নেয়।

পুলিশের গুলিতে ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বহু নেতাকর্মী আহত। এ ঘটনায় সজিব নামের কৃষক দলের এক সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন।’

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এআর)