মন্ত্রিসভায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ২০:৩৯ | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১৫:৪৯

বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারায় সংশোধনী এনে প্রণীত সাইবার নিরাপত্তা আইনের (সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট) খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়া আইনে কারিগরি ধারা ছাড়া আর কোনো ধারা অজামিনযোগ্য নেই।

সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়।

পরে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’র খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের চারটি ধারা অজামিনযোগ্য। এই ধারাগুলো হলো ১৭, ২৯, ২৩ ও ৩৩। বাকি সব ধারাগুলোই জামিনযোগ্য করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের যে খসড়াটি ছিল, সেটিকে নমনীয় করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া চলমান মামলাগুলোর বিচার কাজ ডিজিটাল আইনেই চলবে।

গত ৭ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর আইনটি ‘ভেটিং’ তথা যাচাই ও মতামতের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে যাচাই ও মতামতের পর এটির চূড়ান্ত অনুমোদন পেল।

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির মামলায় সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না। তবে থাকছে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। অনাদায়ে ৩ বা ৬ মাসের কারাদণ্ড। জরিমানা না দিতে পারলে এই সাজা ভোগ করতে হবে।

তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ে ২০০৬ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন প্রণয়ন করা হয়। যেটি আইসিটি আইন হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। তীব্র সমালোচনার মুখে ২০১৮ সালে আইসিটি আইন বাতিল করে সরকার। ওই সময় ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ পাস করা হয়। তবে এ আইন নিয়েও অনেক সমালোচনা রয়েছে। এ আইনটিও বাতিল করার দাবি ছিল বিভিন্ন মহল থেকে। অংশীজন, মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও সাংবাদিকরা বলছিলেন, ডিজিটাল জগতে নিরাপত্তার কথা বলা হলেও আইনটি গণমাধ্যম ও বিরোধীদের কণ্ঠ রোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।অবশেষে কিছু ধারায় পরিবর্তন এনে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন আইনের অনুমোদন দিল সরকার।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ২৮, ২৯, ৩০ ধারাগুলো নিয়ে সমালোচনা ছিল। তবে নতুন আইনে ধারাগুলো বাতিল না করে সেগুলোতে সংশোধন আনা হয়েছে। ডিএসএ-র ২৮ ধারায় ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাতের অপরাধের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল। একই অপরাধ বারবার করলে সাজা ও জরিমানার মেয়াদ দ্বিগুণ হওয়ার বিধান ছিল। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, এই ধারায় সাজা কমানো হয়েছে। এটা আগে ছিল অ-জামিনযোগ্য। এটা জামিনযোগ্য করা হয়েছে।

এছাড়াও ডিএসএ’র ২৯ ধারায় কারাদণ্ডের যে সাজা ছিল সেটাকে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করা হয়েছে। এখানে শাস্তি হবে শুধু জরিমানা। আর জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। সর্বোচ্চ জরিমানা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হবে।

নতুন আইনে মানহানির মামলায় এখন কোনো কারাদণ্ড নেই। তাই এই ধারায় কাউকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না।

(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :