কড়া ডায়েটে না গিয়েও ওজন আর ভুঁড়ি কমানোর সহজ উপায় জানুন
দেহের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত, প্রত্যেক মানুষের জন্যই তার একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। সেই সীমা ছাড়িয়ে ওজনের কাঁটা যদি উর্ধ্বমুখী হয়, পেটে যদি জমে চর্বির বহর, তাহলেই বিপদ। কারণ, শরীরের বাড়তি ওজন আর পেটের চর্বি ডায়াবেটিস, হাই প্রেসার ও হাই কোলেস্টেরেলসহ নানা জটিল রোগের কারণ।
সে কারণে শরীরের বাড়তি ওজন এবং ভুঁড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন অনেকেই। সেই দুশ্চিন্তা থেকে আসে আরও নানা রোগ। অনেকে ওজন আর ভুঁড়ি কমানোর জন্য মেনে চলেন কড়া ডায়েট। সেটি আবার অধিকাংশের জন্য হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়ায়। অনেকে আবার শরীরচর্চাও করেন নিয়মিত।
কিন্তু শরীরচর্চা করে ওজন কিছুটা কমানো সম্ভব হলেও পেটের মেদ ঝরানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বয়স ৪০-এর কোঠা পেরোলে পেটের বাড়তি মেদ কমাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। অত্যধিক পরিমাণে বাইরের খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা না করা— এমন বিবিধ কারণে পেটে মেদ জমতে পারে।
তবে বয়স ৪০ পেরোনোর পর পেটে মেদ জমতে শুরু করলে, তার নেপথ্যে অন্য কারণও থাকতে পারে। যেমন- হরমোনের পরিবর্তন, ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়া, মানসিক অবসাদ পেটের স্থূলতার একটা বড় কারণ। এছাড়া এই বয়সে শরীরের অন্দরেও নানা পরিবর্তন ঘটতে থাকে।
সব মিলিয়ে বাড়তি মেদ জমা হতে থাকে পেটে। সে সময় শরীরচর্চা করা বা জিমে যাওয়াও তেমন একটা কাজে আসে না। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কম বয়সে শরীরচর্চা করার ব্যাপারে যে পরিমাণ উৎসাহ থাকে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। ফলে শরীরচর্চা করলেও বিশেষ লাভ হয় না।
তবে ৪০-এর পর যে পেটের মেদেআর ওজন কমানোর কোনো উপায় নেই, তেমনটাও কিন্তু নয়। দৈনন্দিন জীবনে সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই পেটের মেদ এবং ওজন ঝরানো সহজ হবে। চলুন তবে দেরি না করে জেনে নিই সেই নিয়মগুলো।
সুষম ডায়েট
বয়স ৪০ হয়ে গেলে খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়। কী খাচ্ছেন, তার উপরে নির্ভর করছে মেদহীন থাকা সম্ভব কি না। তাই মেদহীন থাকতে ফল, সবুজ শাকসবজি ও প্রোটিন বেশি করে খাওয়া জরুরি। তাহলেই মেদ জমার ঝুঁকি কম থাকবে।
উদ্বেগমুক্ত থাকুন
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, উদ্বেগে পেটে মেদ জমতে পারে। তাই মেদ ঝরাতে যতটা সম্ভব উদ্বেগমুক্ত থাকুন। তাতে মন এবং শরীর, দুই-ই ভালো থাকবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের ঘাটতিও পেটে মেদ জমার অন্যতম একটা কারণ। তাই প্রতি দিন পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন মানুষের দিনে অন্ত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুবই জরুরি। তাই ঘুম যত ভালো হবে, পেটে মেদ জমার আশঙ্কাও তত কমবে।
(ঢাকা টাইমস/২৭অক্টোবর/এজে)