জেল সুপারের বাসভবনে ডিসি অফিসের কর্মচারীর বসবাস

জামালপুরে জেল সুপারের বাসভবনে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দুইজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। এতে কারাগারের কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
অভিযুক্ত দুই কর্মচারী হলেন- জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জারিকারক মো. আকরাম ও গোপনীয় শাখার পিয়ন রজব আলী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামালপুর ডায়াবেটিকস হাসপাতালের বিপরীত পাশেই জেল সুপারের বাসভবন। একতলা বিশিষ্ট ভবনটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রতিটি ভাগেই রয়েছে তিনটি কক্ষ, একটি বাথরুম, একটি রান্নাঘর ও একটি বারান্দা। সেখানে স্বপরিবারে বসবাস করছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দুইজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী।
এ সময় কথা হয় জারিকারক মো. আকরামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি এর আগে কারাগারের ভেতরের কোয়ার্টারে থাকতাম। ওটা ভেঙে দেয়ার সময় এখানে এসেছি। এখানে প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর যাবৎ আছি। আমার বাড়ি সদর উপজেলার লক্ষীরচর ইউনিয়নের চরযথার্থপুর ভাটিপাড়া গ্রামে। আমার অফিস থেকে বাড়ি অনেক দূরে। নদী পার হয়ে আসা লাগে। তাই এখানেই থাকি।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েটা এসএসসি পরীক্ষা দিবে। এখন শহরে একটা বাসা ভাড়া নিতে গেলে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা লাগবে। যে টাকা বেতন পায় সেটা দিয়ে সংসার চলে না। বাসাভাড়া কিভাবে নিবো? এখানে আছি কারাগারের কেউ এখনো কিছু বলে নাই। বললে চলে যাবো।
এ সময় রজব আলীকে না পাওয়া গেলেও তার এক স্বজন বলেন, আমরা আগে কারাগারের কোয়ার্টারে ছিলাম ২২ বছর। ওটা ভেঙে ফেলার পর এখন এখানে উঠেছি প্রায় বছরখানেক হলো। আমাদের কেউ কখনও কিছু বলেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামালপুর জেলা কারাগারের একজন কর্মচারী বলেন, ডিসি অফিসের দুইজন যেখানে থাকেন সেটি জেলা কারাগারের সম্পত্তি। সেখানে কেউ না থাকলে আমাদের স্টাফরা থাকবে। অন্যরা কেনো থাকবে? আমাদের স্টাফরাও অনেক কষ্ট করে থাকে। আমারা চাই যে তারা সেখান থেকে চলে যাক। আমাদের স্টাফরা সেখানে থাকুক।
ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার তাসনীম জাহান বলেন, আমি সম্প্রতি এই পদে দায়িত্ব নিয়েছি। এই বিষয়ে খোজঁখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
(ঢাকাটাইমস/০২ নভেম্বর/ইএইচ)

মন্তব্য করুন