গাজার বড় হাসপাতালে রোগী ও উদ্বাস্তুরা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আটকা
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালের অভ্যন্তরে রোগী এবং উদ্বাস্তুরা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আটকা পড়েছে। কারণ হাসপাতালের কাছাকাছি রাস্তায় প্রচণ্ড লড়াই চলছে।
গাজা শহরের আল-শিফার একজন সার্জন বিবিসিকে বলেছেন, হাসপাতালে পানি, খাবার এবং বিদ্যুৎ ফুরিয়ে গেছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, কাছাকাছি হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে গুলি চালানো হয়নি।
ইসরায়েল আরও বলেছে, রবিবার ‘একটি নিরাপদ হাসপাতালে’ শিশুদের সরিয়ে নিতে সাহায্য করবে তারা। ডাক্তাররা বলেছেন যে দুজন মারা গেছে এবং অন্য ৩৭ জন ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিবিসিকে আল-শিফায় একটি অস্ত্রোপচার থিয়েটারে রাখা অন্তত ২০টি নবজাতকের ছবি পাঠানো হয়েছে। ডাক্তাররা সতর্ক করেছেন যে তারা মারা যেতে পারে, কারণ বিদ্যুতের অভাবে নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
হাজার হাজার মানুষ আল-শিফায় আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেটি দুই দিন ধরে ভয়াবহ যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) বারবার হামাসের বিরুদ্ধে হাসপাতালের নিচের টানেল থেকে কাজ করার অভিযোগ এনেছে, যা হামাস অস্বীকার করে।
শল্যচিকিৎসক মারওয়ান আবু সাদা বিবিসিকে বলেন, আল-শিফায় গুলি ও বোমা হামলার শব্দ প্রতি সেকেন্ডে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, কমপ্লেক্সের চারপাশে মৃতদের দাফনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
‘আমরা এই মৃতদেহগুলোর কারণে কোনো প্রাদুর্ভাব চাই না,’ তিনি বলেন, জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় মর্গের রেফ্রিজারেটর কাজ করছিল না।
ফিজিশিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস ইজরায়েল নামে একটি চিকিৎসক দল জানিয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় দুটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
গ্রুপটি সতর্ক করেছে যে ৩৭ জন শিশুর জীবনের জন্য একটি সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/এফএ)