কপ-২৮ সম্মেলন

বাংলাদেশের জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে ময়মনসিংহে প্রতীকী প্রদর্শনী

ময়মনসিংহ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৭

জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৮) বিভিন্ন দাবিতে ময়মনসিংহে ব্যতিক্রমধর্মী প্রদর্শনী সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার নগরীর বেলতলি ব্রীজ সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ প্রতীকী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মাটি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ পরিচালক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় সিসিএনজিএম নেটওয়ার্ক সংগঠনের সভাপতি লেলিন রহমান ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফারুক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

আগামীকাল ৩০ নভেম্বর থেকে আগামী ১২ ডিসেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৮) কয়লা, গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বিশ্ব নিশ্চিত করার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বৈশ্বিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবিতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

এজন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে একটি সময় নির্দিষ্ট বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য এই প্রদর্শনী সমাবেশ থেকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ত্ব আহ্বান জানানো হয়।

প্রদর্শনী সমাবেশ থেকে বিতরণকৃত লিফলেটে বলা হয়, পৃথিবীর অধিকাংশ সরকারপ্রধান, বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর প্রধান, বিজ্ঞানী, জলবায়ু-অধিকারকর্মী, সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রতিবছর কপ সম্মেলনে মিলিত হন। এবার দুবাইয়ে ২৮ তম কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু দশকের পর দশক ধরে চলা এসব সম্মেলনে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশ ও সংস্থাসমূহের কার্যকর পদক্ষেপ খুব বেশি দেখা যায় না। অথচ বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েই চলেছে এবং তার অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের মত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো।

লিফলেটের ভাষ্য অনুসারে, ২০১৫ সালে সম্পাদিত প্যারিস চুক্তি অনুসারে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার শিল্পবিপ্লবপূর্ব তাপমাত্রার ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। অথচ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকারি প্যানেল

আইপিসিসির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান হারে নির্গমন কমালে ২০৫০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ৩.৬ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে যা এই পৃথিবীতে মানুষসহ সকল প্রাণির অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলবে। সুতরাং, শিল্পোন্নত দেশগুলোর নির্গমন ব্যাপক হারে কমানোর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু তা না করে কেবল বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার্থে সকলে কালক্ষেপণ করছে যা গোটা বিশ্বকেই বিপন্ন করে তুলছে। পক্ষান্তরে, কপ সম্মেলনে যা কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তা বাস্তবায়নে আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকায় অধিকাংশ সিদ্ধান্তই যথাসময়ে ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হয় না। এ কারণেই জলবায়ু কর্মীরা দাবি তুলে আসছেন, ‘অযথা বকবক না করে কাজ করো’ কিংবা ঐচ্ছিক সমঝোতা নয়, আইনগত চুক্তি চাই।

(ঢাকাটাইমস/২৯ নভেম্বর/ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ: জরিমানার টাকা দিতে না পারায় পুলিশ হেফাজতে প্রার্থী

নির্বাচনি মিছিলে অসুস্থ হয়ে প্রাণ গেল যুবকের

নোয়াখালীতে প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন, ওসির প্রত্যাহার দাবি

সিরাজদিখানে বিদেশি মুদ্রাসহ তিন পাচারকারী গ্রেপ্তার 

মোটরসাইকেলেই প্রাণ গেলো দুই বন্ধুর

বগুড়া থেকে ছিনতাই হওয়া ধানভর্তি ট্রাক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩  

বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়িতে সদস্য সংগ্রহ করতেন আকিম বম

শরীয়তপুরে নির্বাচনি ক্যাম্পের পাশেই ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ৫

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন: শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

কুড়িগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা হলে ছাড় নয়: এসপি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :