বগুড়ার শেরপুরে বেতন না দেওয়ায় নতুন বই বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
| আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৬ | প্রকাশিত : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৮

সারা দেশে বই উৎসবে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত হলেও বগুড়ার শেরপুরের ‘দোয়াল সাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের’ অনেক শিক্ষার্থী এখনও বই বঞ্চিত রয়েছে। বিদ্যালয়ের বেতন পরিশোধ করতে না পারায় বই পায়নি তারা। এমনই অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

বই বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘বছরের শুরুতে অন্যদের মতো আমরাও বই চাই, নতুন বইয়ের গন্ধ নিতে চাই।’

বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা স্কুল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাহিরে ঘোরাফেরা করছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক বছরের প্রথম দিনেই সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও ‘দোয়াল সাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের’ অনেক শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া হয়নি।

নতুন বই পেতে হলে সেশন ফি ৫শ টাকা, বিদ্যালয় উন্নয়ন ফি একশ টাকা, স্কাউট ফি ৫০ টাকা, ক্রীড়া উন্নয়ন ফি ৫০ টাকা, বিদ্যুৎ বিল ২০টাকাসহ মোট ৭২০ টাকা পরিশোধ করতে বলছেন প্রধান শিক্ষক সুবাস চন্দ্র মাহাতো। টাকা না দিলে শিক্ষার্থীদের নতুন বই দিতে নিষেধ করেছেন তিনি।

বই বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা জানান, বছরের প্রথম দিন মাত্র দুটি বই পেয়েছি। স্কুলে এসে জানতে পারি ৭২০ টাকা না দিলে নতুন বই দেওয়া হবে না। তাই দুটি বই নিয়েই বাড়িতে যেতে হয়েছে।

আব্দুস সালাম নামে এক অভিভাবক জানান, আমার মেয়ে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সরকার থেকে বই পাওয়ার কথা থাকলেও টাকার জন্য আমার মেয়ে বই পায়নি। তাই স্কুলে এসেছি বিষয়টা জানার জন্য।

নাম প্রকাশ না কার শর্তে আরও এক অভিভাবক জানান, টাকার অভাবে মেয়েকে শহরে পড়াতে পারি না। তাই গ্রামের স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছি। এখন মেয়ে বলছে টাকা ছাড়া স্কুলে বই দিচ্ছে না। আমি গরিব মানুষ ৭২০ টাকা দেব কীভাবে।

এ সম্পর্কে জানতে ঢাকা টাইমস থেকে প্রধান শিক্ষক সুবাস চন্দ্র মাহাতোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে এ প্রতিবেদকের কাছে একটি ভিডিও সংরক্ষিত আছে। যেখানে প্রধান শিক্ষককে বলতে শোনা যাচ্ছে ‘বিদ্যালয়ের বেতন আদায় করা আমার দায়িত্ব। এজন্য যারা বেতন পরিশোধ করেনি তাদেরকে বই দেওয়া হয়নি।’

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি বই না দিয়ে থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী জানান, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার কথা। যদি বই না দেয় তাহলে এটা অন্যায় হয়েছে। তদন্ত করে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :