কক্সবাজার-৩: আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে বিজিবি ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪ টায় জোয়ারিয়ানালার মাদ্রাসা গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর উপজেলার জোয়ারিয়ানালার মাদ্রাসা গেইটে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের পক্ষে ঈগল প্রতীকের প্রচারণা চলছিল। ওই সময় কয়েকটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যান নৌকার কয়েক শত কর্মী। তারাও নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। যা পরবর্তীতে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এসময় আহত হয় ঈগল প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়া স্থানীয় চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রিন্সসহ উভয় দলের ৫-৬ জন।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘শামসুল আলম প্রিন্সের নেতৃত্বে তার সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়। এমনকি সমর্থকদের লক্ষ করে গুলিও করা হয়। মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজান সাঈদ এই ষড়যন্ত্রের জাল বুনেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তবে চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রিন্স বলেন, ‘এমপি গাড়ি থেকে নেমে লাঠি হাতে এগিয়ে এসে মারধর শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে এমপি অস্ত্র হাতে তাকে গুলি করার চেষ্টা করা হয়। এসময় জনতা তাঁর সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেলে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন এমপি নিজেই। একই সঙ্গে এমপির সাথে থাকা লোকজন হৈ-চৈ করে স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।’
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘জোয়ারিয়ানালা আমার এলাকা, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ।’
এ বিষয়ে রামু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু তাহের দেওয়ান জানিয়েছেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। জড়ো হওয়া লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।‘
(ঢাকাটাইমস/৩জানুয়ারি/এআর)

মন্তব্য করুন