নোয়াখালীতে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৪, গাড়ি ভাঙচুর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রচারণায় ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাস, সংযোগ কেটে দেওয়া হয় প্রচার মাইকের।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হচ্ছেন- নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জাফর উল্যা, কবিরহাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু জাফর আবির, কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু, বৃহত্তর সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়েজ উল্যাহ, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাটইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন সোহাগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ইসমাইল হোসেন, সোলায়মান, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাদ্দাম, কাউন্সিলর জাসেদ, যুবলীগ নেতা তুহিন, কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ২৪ জন। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু অভিযোগ করে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর বিভিন্ন সময় আমরা কাদের ভাইয়ের পক্ষে প্রচরাণায় গেলে বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে ও বাধা দেয়। ওবায়দুল কাদেরের কবিরহাটের পথাসভার দিনও শাহীনের নেতৃত্ব আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, আজ প্রথমের আমরা নৌকার পক্ষে কাছারিহাট, ওটারহাট প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করি। পরে সন্ধ্যায় ভূঁইয়ারহাট বাজারে লিফলেট বিতরণ করার পর আমাদের নেতাকর্মীরা নৌকার ভোট চেয়ে বক্তব্য দিচ্ছিল। এ সময় শাহীনের পক্ষে স্লোগান দিয়ে শাহীনের নেতৃত্বে তার অস্ত্রধারী লোকজন এসে প্রথমে আমাদের মাইকের তার কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে এবং আমাদের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোন প্রকার সমন্বয় না করে তারা নির্বাচনি প্রচারণায় এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়। আমরা ওবায়দুল কাদেরের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করতে করতে তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের নেতাকর্মীরা আমাদের লোকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং কয়েকজনকে মারধর করে। এতে আমিসহ আমার ৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নির্বাচনি প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের দুপক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। এ সময় তারা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। তবে এখনও (রাত ১১টা) কেউ আমদের লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি।
(ঢাকাটাইমস/০৪জানুয়ারি/ইএইচ)
মন্তব্য করুন