গাজা ‘বসবাসের অযোগ্য’: জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের কারণে গাজা উপত্যকা ‘বসবাসের অযোগ্য' হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবিক ও জরুরি ত্রাণ সংক্রান্ত প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস৷
শনিবার এক বিবৃতিতে মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, ‘গাজা একেবারেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে৷ সেখানে মানুষ প্রতিদিন অস্তিত্বের হুমকিতে পড়ছে, সারা বিশ্ব তা অবলোকন করেছে৷'
সেখানে অচিরে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করেন মার্টিন গ্রিফিথস৷
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা অব্যাহতভাবে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানাচ্ছি৷'' সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি৷
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
মাঝে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে ২৪ বিদেশিসহ মোট ১০৫ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ৭১ জন মহিলা এবং ১৬৯টি শিশু রয়েছে।
যুদ্ধবিরতি শেষে গত ১ ডিসেম্বর থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় সংঘাতে জড়ায় ইসরায়েল ও হামাস।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এমন নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ২২ হাজার ছড়িয়ে গেছে। এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৩২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৭ হাজার ফিলিস্তিনি।
এছাড়া প্রায় তিন মাস ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
(ঢাকাটাইমস/০৭জানুয়ারি/এমআর)