ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। মারা গিয়েছেন রইসির সহযাত্রী তথা সে দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থার তরফে দু’জনের মৃত্যুর খবর এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও, সে দেশের প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
সফরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও কর্মকর্তাকে বহনকারী দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করে। আর প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঘন কুয়াশায় সমস্যায় পড়ার পরে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করে।হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং তাবরিজের জুমার নামাজের নেতা আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আল-ই-হাশেমও ছিলেন। তবে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি ধ্বংস হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়া ওই হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের বানানো বলে জানা গেছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইসি ও আব্দুল্লাহিয়ান বেল-২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টারে ছিলেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা একটি হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারটি ছিল মাঝারি আকারের। এতে পাইলটসহ ১৫ জন বসতে পারেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা-এর বরাতে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা বেল-২১২ মডেলের। তবে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের কাছে এমন কোনো হেলিকপ্টার বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল রোববার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সাথে ছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য কর্মকর্তারা। ফেরার পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
(ঢাকাটাইমস/২০ মে/আরজেড)