ইবি উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
সম্প্রতি ইউজিসির পরিচালক মুহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসাবে যে কোনো ধরণের নথি পরীক্ষা করতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক এম আবু তাহেরকে আহ্বায়ক করে ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খানকে সদস্য-সচিব করা হয়েছে ও কমিটির অপর সদস্য হলেন ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এম ফজলুর রহমান।
অন্যদিকে পৃথক আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের অনিয়ম তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক জাফর আহমদ জাহাঙ্গীরকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি।
কমিটিতে সদস্য-সচিব হিসেবে রাখা হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী খানকে ও কমিটির অপর সদস্য হলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ।
জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এম আবু তাহের বলেন, শিগগিরই আমরা ক্যাম্পাসে গিয়ে ঘটনা তদন্ত করবো। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনীত কোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন নিয়োগসংক্রন্ত অসঙ্গতি বা অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ নেই। আমার বিরুদ্ধে এসব কথা ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, দুর্নীতি আমার সাথে যায়না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছি, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে ইমিডিয়েট সেগুলোর তদন্ত করে বিষয়টা ক্লিয়ার করা হোক।
এর আগে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত নিয়োগ সংক্রান্ত উপাচার্যের অন্তত এক ডজনের বেশি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। একইসময় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের ঠিকাদারের সাথে আর্থিক লেনদেনের একটি অডিও ফাঁস হয়।
(ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/এআর)
মন্তব্য করুন