হাসপাতালের ওসিসি থেকে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ ধর্ষণের শিকার তরুণীকে অপহরণ

খুলনা ব্যুরো, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪০ | প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৬
ঘটনাস্থল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ আহমেদকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

খুলনায় ধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে (২৮) হাসপাতাল থেকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে ওই নারীকে ফিল্মি স্টাইলে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ আহমেদকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আটক গাজী তৌহিদ আহমেদ ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই। এর আগে শনিবার রাতে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই নারী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অনেক দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার।

শনিবার রাত সোয়া ১১টায় ওই নারী নিজেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ওসিসি থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এর আগেই সেখানে উপস্থিত হন গণমাধ্যম কর্মী ও আইনজীবীরা। তরুণীর ভাই অভিযোগ করে বলেন, ওই চেয়ারম্যান শনিবার রাতে মোবাইলে তার বোনকে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেকদিন ধরে তার বোনকে ধর্ষণ করেছেন চেয়ারম্যান। শনিবার তার বোন চেয়ারম্যানকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। তিনি থানায় গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়ক অ্যাড. মমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে আমরা মেয়েটির বক্তব্য নেওয়ার জন্য এসেছিলাম। মেয়েটি বক্তব্য দিতে চেয়েছিল তবে কিছু বলার আগেই ফিল্ম স্টাইলে তাকে অপহরণের মতন মা ও মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যান। কিছু সাংবাদিক এ সময় ভিডিও করতে গেলে তাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে চলে যায়। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরাও একই কথা বলেন। ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সোনাডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এসে শুনেছি ভিকটিমকে নিয়ে কিন্তু চলে গেছে এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ঘটনা ঘটেছে ভিকটিম যদি অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :