সাংগঠনিক অস্থিরতা কাটাতে কাউন্সিলমুখী বিএনপি

জাহিদ বিপ্লব, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০৭| আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩২
অ- অ+

আন্দোলন ও নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে অনেকটাই হতাশা কাজ করছে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। দায়িত্বশীল পদে থেকে যারা আন্দোলনে গাফিলতি করেছেন এবং আত্মগোপন করে কর্মীদের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ রাখেননি এমন নেতাদের প্রতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে। সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দল ও তাঁতী দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নেয়।

বিগত আন্দোলন ব্যর্থতায় ঘুরে দাঁড়াতে সংগঠন পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে দলটির হাইকমান্ড। এর অংশ হিসেবে ১ মার্চ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দলটির সংগঠন পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে টানা আন্দোলনে থেকেও সরকারকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করতে না পারায় বিএনপির নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূল থেকে প্রশ্ন আসছে ব্যর্থ নেতৃত্ব দিয়েই কি আগামীতে বিএনপি চলবে? নাকি কাউন্সিল করে কিংবা শূন্যপদে নতুন নেতৃত্ব এনে দল পুনর্গঠন করা হবে।

এ অবস্থা থেকে সংগঠনে গতিশীলতা আনতে আন্দোলনে সক্রিয় নেতাদের প্রাধান্য দিয়ে হাইকমান্ড দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নতুন কমিটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

নেতাকর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পরও তারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন না। নিয়মিত কাউন্সিল হলে অনেকেই নেতা হওয়ার সুযোগ পেতেন। এতে দলের নেতৃত্বেরও বিকাশ ঘটত। পদ-পদবি না পেয়ে অনেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। তাদের দাবি, আগামী দিনের আন্দোলনকে গতিশীল করতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব জরুরি। যারা বয়সের ভারে ন্যুব্জ ও নিষ্ক্রিয়, তাদের কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে। অযোগ্য ও বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটির আকার করতে হবে ছোট। আন্দোলন-সংগ্রামে পরীক্ষিত, যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে কেন্দ্রীয় কমিটি। এজন্য ছোট পরিসরে হলেও কাউন্সিল করার তাগিদ মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।

দলটির সূত্র জানায়, সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন সামনে রেখে সংগঠন পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরুর মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে ভাবছে বিএনপি। দীর্ঘ প্রায় আট বছরেও কাউন্সিল হয়নি দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটির। এমন প্রেক্ষাপটে কাউন্সিল করা উচিত বলে মত আসছে বিএনপিতে। এর মধ্য দিয়ে বিগত আন্দোলন ঘিরে ‘ব্যাকফুটে’ চলে যাওয়া দল এবং সারা দেশের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা ও উজ্জীবিত হতে পারে বলে নীতিনির্ধারকদের অনেকের অভিমত।

এদিকে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর সম্মেলন (কাউন্সিল) করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করার কথা বিএনপির। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় আট বছর দলটির কাউন্সিল হচ্ছে না। সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন সামনে রেখে সংগঠন পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরুর মধ্যে এবার জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে ভাবছে দলটি। এর মধ্য দিয়ে দল ও সারাদেশের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা ও উজ্জীবিত হতে পারেন বলে নীতিনির্ধারকদের অনেকে মনে করছেন। গেল সোমবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানানো হয়নি। নীতিনির্ধারকদের আগামী বৈঠকে কাউন্সিল নিয়ে মোটামুটি সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই বৈঠকে কাউন্সিলের তারিখও নির্ধারণ করা হতে পারে।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নির্বাচিত কমিটি করার কথা বলা আছে। বিএনপির সর্বশেষ জাতীয় নির্বাহী কমিটির ষষ্ঠ কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। বিএনপির গঠনতন্ত্রে বলা আছে, জাতীয় কাউন্সিলে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হবে। এ কমিটি নির্বাচিত হবে তিন বছরের জন্য। সে হিসাবে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে দলটির আরও দুটি কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটিও হয়নি। যদিও দলটির নেতাদের দাবি, সরকারের দমনপীড়নের কারণে কাউন্সিল করা যায়নি।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে কাউন্সিল না হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ঢাকা টাইমসকে বলেন, দলের নেত্রী খালেদা জিয়া এখনো বন্দি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বাইরে। শীর্ষ নেতা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও অসুস্থ। সর্বশেষ কাউন্সিলের পর থেকে নতুন করে কাউন্সিল করার পরিবেশ-পরিস্থিতি ছিল না, এটাও বাস্তবতা। তাছাড়া করোনা মহামারিসহ রাজনৈতিক পরিবেশ নিজেদের অনুকূলে না থাকায় কাউন্সিল করা সম্ভব হয়নি। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হামলা-মামলা হয়েছে। গুম-খুনের শিকার হয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। সর্বশেষ আন্দোলনের মধ্যে ২৮ অক্টোবরে ঢাকার মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তারে করা হয়েছে অন্তত ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে সাজা দেওয়া হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে। যদিও অনেকে এখন কারামুক্ত। পরিস্থিতি যাই থাকুক, কাউন্সিল তো করতে হবে। যদিও জাতীয় কাউন্সিল একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। চার হাজারের বেশি কাউন্সিলর, এরপর রয়েছেন ডেলিগেট-এমন একটা কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করাও সময়ের দরকার। তার মধ্যে আবার ৮২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অধিকাংশই চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠনেরও একটি বিষয় রয়েছে। গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করতে হবে। হয়তো সময়ের মধ্যে একটা তারিখ নির্ধারণ করে প্রস্তুতি শুরু করা হবে।

সর্বশেষ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের কিছুদিন পর স্থায়ী ও নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। ৫০২ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হলেও বেশ কয়েকটি পদ ফাঁকা ছিল। এছাড়া স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যানসহ নির্বাহী কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা মারা গেছেন। কেউ কেউ পদত্যাগও করেছেন। কাউকে আবার বহিষ্কারও করা হয়েছে। পদোন্নতি দিয়ে কয়েকটি পদ পূরণ করা হলেও অনেক পদ এখনো ফাঁকা। ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির শুরুতেই দুটি পদ ফাঁকা ছিল। এরপর তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা যান। এছাড়া রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। যদিও তার পদত্যাগপত্র বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান কোনোটিই করা হয়নি। অসুস্থ থাকায় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া স্থায়ী কমিটির বৈঠকসহ কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন না। এর মধ্যে ২০১৯ সালের জুনে বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে স্থায়ী কমিটির শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই হিসাবে এখন সদস্যসংখ্যা ১৪ জন। পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে। ৩৭ জন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে অন্তত ৯টি পদই ফাঁকা। এছাড়া ৭৩ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির মধ্যেও বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যেও কয়েকজন মারা গেছেন। কয়েকজনকে বহিষ্কার আর কয়েকজন স্বেচ্ছায়ও পদত্যাগ করেছেন। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৩০টির মতো পদ এখন শূন্য। তাছাড়া বয়সের কারণেও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয়।

দলটির নেতারা জানান, এর আগেও সারা দেশের সাংগঠনিক জেলা কমিটি পুনর্গঠন করে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করতে কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তৃণমূলের কমিটি পুনর্গঠনের ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি জেলার আহ্বায়ক কমিটিও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় থমকে যায় পুনর্গঠন, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখা হয়। পরে আবারও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু সেসব কমিটির মেয়াদও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ঢাকা টাইমসকে বলেন, এই পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে সবকিছুরই রক্ত সঞ্চালন অব্যাহত রাখতে হয়। তা না হলে সাধারণ গতি ব্যাহত হয়, অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিএনপি রাজপথে আন্দোলনের কারণে রক্ত সঞ্চালন অব্যাহত রাখতে পারেনি। নিয়মিত পরিবর্তন এবং পুনর্গঠনের মাধ্যমে দল আরও শক্তিশালী হয়। বিএনপি এবার সংগঠনকে গতিশীল করতে পদক্ষেপ নেবে।

সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল ঢাকা টাইমসকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে তা সবাই মেনে নেবে। দল যেটা ভালো মনে করবে এবং যোগ্য মনে করবে সেই নেতৃত্ব পাবে।

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ হয়েছিল বিএনপির সর্বশেষ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল। অথচ দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর সম্মেলন (কাউন্সিল) করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করার কথা। এই সময়ের মধ্যে দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারবিরোধী একটি আন্দোলনও করেছে দলটি। তবে নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল করতে না পারার জন্য সরকারের দমনপীড়নকেই দায়ী করছে বিএনপি।

বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলের প্রায় পাঁচ মাস পর ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট স্থায়ী কমিটির ১৭ সদস্যসহ ৫০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি ঘোষণা করা হয় ৭৩ সদস্যের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের নামও। এর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতা মারা গেছেন। কেউ কেউ পদ-পদবি থেকে বাদ পড়েছেন। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৩০টির মতো পদ এখন শূন্য। এ ছাড়া বয়সজনিত কারণেও কয়েকজন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিষ্ক্রিয়। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে বর্তমানে পদ রয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে এখন পাঁচটি পদ খালি রয়েছে। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দুটি শূন্যপদ পূরণ করা হয়েছে।

এদিকে আন্দোলন ব্যর্থতায় সারা দেশে ঝিমিয়ে পড়া সংগঠন ও ‘হতাশাগ্রস্ত’ নেতাকর্মীদের চাঙ্গা ও উজ্জীবিত করতে আসন্ন রমজানে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ইফতার মাহফিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাংগঠনিক জেলাগুলোর ইফতারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। দলের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা এখন জেলা নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়টি সমন্বয় করছেন। এবার কেন্দ্রীয়ভাবে বৃহৎ পরিসরে চার থেকে পাঁচটি ইফতার মাহফিল করবে বিএনপি। এরই মধ্যে দুটি ইফতারের শিডিউল চূড়ান্ত হয়েছে। প্রথম রমজানে এতিম ও আলেম-ওলামাদের সম্মানে ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এবং ২৮ মার্চ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে একই স্থানে ইফতার মাহফিল হবে।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক পথ-মতের অনুসারীদের এক প্ল্যাটফর্মে এনে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার রমনা বটমূলের খোলা চত্বরে প্রথম সম্মেলনে ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী হন প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব। দলটির দ্বিতীয় কাউন্সিল হয় চার বছর পর ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে (জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর)। সেই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব হন যথাক্রমে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

সাত বছর পর ১৯৮৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির তৃতীয় কাউন্সিল। ওই কাউন্সিলে খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন এবং সালাম তালুকদার মহাসচিব হন। চার বছর বিরতি দিয়ে ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে চতুর্থ কাউন্সিলে খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন এবং আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া মহাসচিব হন। এর দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম কাউন্সিলে খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন এবং অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মহাসচিব নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলটির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে তৃতীয়বারের মতো খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন এবং ভারপ্রাপ্ত থেকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিন বছর মেয়াদি এই কমিটির বয়স ইতোমধ্যে ৮ বছর পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান। তার নেতৃত্বে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি ৭টি আসন লাভ করে। আর সর্বশেষ ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।

(ঢাকাটাইমস/০৯মার্চ/এসআইএস/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা