টাংগুয়ার হাওরের শালদিঘাসহ বিভিন্ন বিলের পানি শুকিয়ে মাছ শিকার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওরের বিভিন্ন অংশের বিল শুকিয়ে মাছ শিকার করার অভিযোগ উঠেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এতে করে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে মাছের বংশ বিস্তার প্রক্রিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের শেষ সীমান্ত এলাকায় টাংগুয়ার হাওরের বিভিন্ন অংশে গত ২০-২৫ দিনের মধ্যে ভাতেরটেক শালদিঘা বিল, লামার বিলসহ ২০টি বিলের পানি শুকিয়ে মাছ ধরছে সংঘবদ্ধ মাছ শিকারিরা। তারা হাওরে টিনের ঘর তৈরি করে খলা বানিয়ে রাতে অবস্থানও করে। আর দিনভর হাওরের বিভিন্ন বিল শুকিয়ে মেতে রয়েছে মাছ ধরার কাজে।
কাউয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ও সালোর গ্রামের জীবিকা সমবায় সমিতির সভাপতি হেনাবোল মিয়া শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভাতেরটেক শাল দিঘা বিলে মেশিন দিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ শিকার করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল মিয়া জানান, প্রতিদিন হাওরের বিভিন্ন অংশে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মাছ শিকার করতে গিয়ে বিলের পানি শুকিয়ে ফেলছে। এছাড়াও শাল দিঘা লামার বিলসহ আরও ১০-১২টি বিলের পানি শুকিয়ে মাছ ধরারও অভিযোগ রয়েছে ওই চক্রটির বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের মতে এখনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সংঘবদ্ধ মাছ শিকারিরা টাংগুয়ার যে সকল বিল রয়েছে সুগুলোরও পানি শুকিয়ে ফেলবে।
বিলের পাশের বাসিন্দা ও কৃষক শামিম আহমেদ জানান, বিলের পানি শুকিয়ে ফেলায় এক দিকে মাছের বংশ ধংস করা হচ্ছে অন্য দিকে পানি শুকিয়ে ফেলায় জমিতে পানি দিতেও পারবো না। যারা সরকারি নীতিমালা অমান্য করে এই অনিয়ম করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাউয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ও সালোর গ্রামের জীবিকা সমবায় সমিতির সভাপতি হেনাবোল মিয়া বলেন, বিলের পানি শুকিয়ে মাছ শিকার করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এর সঙ্গে জড়িত নই।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভিন জানান, এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ,কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন