খুলে দেওয়া হলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি র্যাম্প

উদ্বোধনের ছয় মাস পর অবশেষে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি সংলগ্ন ডাউন র্যাম্প (নামার সংযোগ সড়ক) খুলে দেয়া হয়েছে। এর ফলে খুব সহজেই উত্তরা থেকে আসা গাড়িগুলো মগবাজার, হাতিরঝিল ও কারওয়ান বাজার এলাকায় নামতে পারবে।
বুধবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই ডাউন র্যাম্পের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, এটা নগরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের কাওলা থেকে, বনানী, ফার্মগেট, কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার, রাম্পসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার। এতে মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০কোটি টাকা। বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৭২.৫১ শতাংশ।
অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত নয়। দিবারাত্রি কাজ চলছে। আমরা পদ্মা সেতু মেট্রোরেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করেছি। বিশ্ব পরিস্থিতিতেও কিছু জটিলতা আছে। যেসব দেশ এসব প্রকল্পে জড়িত তাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আছে। ঘাটে ঘাটে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। বিশ্বের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যন্ত্রপাতি আমদানিতে কিছু সমস্যা হয়। আমাদের অনিচ্ছায় প্রকল্প দেরি হচ্ছে- এটা ঠিক নয়।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে।
জানা যায়, মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যান ছাড়া অন্যান্য সব যানবাহন নির্দিষ্ট হারে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে পারে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) সাধারণ যাত্রীদের জন্য এক্সপ্রেসওয়েতে বিশেষ বাস সেবাও চালু করেছে।
এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকি ব্যয়ের মধ্যে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ, চীন শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন ১৫ শতাংশ দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ খুলে দেয়া হয়। ওই অংশে সব মিলিয়ে ১৫টি র্যাম্প ছিল। এবার খুলে দেয়া হলো ষোড়শ র্যাম্প।
(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এলএম/ইএস)

মন্তব্য করুন