নির্বাচনের পরও বিএনপিকে চাপে রাখছে সরকার, অভিমত নেতাদের  

জাহিদ বিপ্লব, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৭| আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪, ১১:০১
অ- অ+

বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিলেও অনেকটা নির্বিঘ্নে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করে সরকার। আন্দোলনে মাঠে থাকা অসংখ্য নেতাকর্মীর জায়গা হয় কারাগারে। নির্বাচনের পর পর্যায়ক্রমে নেতাদের মুক্তি মিললেও রাজপথে এখনও বড় কোনো শোডাউন করতে পারেনি বিএনপি। যদিও দলটির নেতারা বলছেন, সরকার একতরফা নির্বাচন করে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে।

এই মুহূর্তে বিএনপির সামনে তেমন কোনো ইস্যু নেই। বলতে গেলে সরকার পতন আন্দোলন থেকেও সরে এসেছে দলটি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিনে গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিল তারা। সেদিন ঢাকার সাতটি জায়গায় পুলিশের বাধার কারণে বিএনপি তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের অধিকাংশের মত হচ্ছে, বিএনপি এখন সংসদের বাইরে রয়েছে, এমন পটভূমিতে দলটিকে চাপে রাখতে হবে। একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকলে বিএনপি এমনিতে ক্ষয়িষ্ণু, এমনকি নিঃশেষ হয়ে যাবে।

বিএনপির অভিযোগ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও বিএনপিসহ মাঠের বিরোধী দলকে চাপে রাখছে সরকার। কোনো অবস্থাতেই বড় কোনো আন্দোলন বা শক্ত প্রতিরোধ করার সুযোগ দিতে চাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার অনেকটা সাদামাটা কর্মসূচিতেও পুলিশি বাধার কারণে এমনটিই মনে করছেন বিএনপিসহ বিরোধী মতের নেতারা।

গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের জামিন মিললেও হুলিয়া নিয়ে আত্মগোপনে থাকা নেতারা আছেন বেকায়দায়। তাদের অনেকেই আগাম জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। এতে জেল আতঙ্ক কাটছে না তাদের। অন্যদিকে যাদের জামিন মিলেছে তারাও আবার কখন আটক হয় তা নিয়ে আছেন শঙ্কায়।

মঙ্গলবারও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এরমধ্যে আটক হওয়ার আতঙ্ক, বিভিন্ন সভা-সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া এমনকি বিভিন্নস্থানে ইফতার মাহফিলের অনুমতি না পাওয়াসহ বিরোধীদলের প্রতি সরকারের আগ্রাসী মনোভাবে শক্ত করে দাঁড়াতে পারছে না দলটির নেতাকর্মীরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর অবস্থা হয়েছে আমাদের চেয়ারপার্সনের মতো। নামমাত্র মুক্তি দেওয়া হলেও আদৌ আমরা মুক্ত নই। কারও মামলা নিষ্পত্তি করেনি সরকার। তারা যখন মনে করবে তখনই আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করবে। এককথায় সরকারের হাতের মুঠোয় বন্দী আমরা।

এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের কারও কারও মত ছিল, ‘সন্ত্রাসীদল আখ্যা দিয়ে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। দাবি নিয়ে রাজপথে সরবও ছিলো সরকার সমর্থিত কয়েকটি সংগঠন।

এবিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিপক্ষ হচ্ছে বিএনপি। কিন্তু তারা আমাদের প্রতিপক্ষ মনে না করে শত্রু মনে করে। রাতের বেলায় কোর্ট পরিচালনা করে বিএনপি নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। অতএব, নিয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই। এবিষয়ে দেশ-বিদেশে রিপোর্টও হয়েছে। সরকার কোনো পরোয়া করছে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ডামি সরকার অবৈধ সরকার সবসময় আতঙ্কে থাকে এই বুঝি চলে গেলো। সে আতঙ্ক থেকে বিরোধীদল দমনে ব্যস্ত সরকার। একদিকে দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি। এক হালি লেবুর দাম ৬০ টাকা। মানুষ আজ অসহায় জীবনযাপন করছে। সরকার এটি নিজেও টের পেয়েছে। যেকোনো সময় জনবিস্ফোরণ সৃষ্টি হতে পারে। তাই রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে বিরোধীমতকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা করছে সরকার।

((ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/জেবি/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা