গর্ভেই সন্তানের মৃত্যু, চিকিৎসক রোগীকে কয়েক দফা দেখেও পাঠালেন ঢাকায়!

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে চিকিৎসার ফলে নবজাতক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার সকালে ভৈরব পৌর কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রসূতি নারী প্রমি খানম গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই আবেদীন হাসাপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ১৩ মার্চ বুধবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন ডা. আমিন উদ্দিন আহম্মেদ। রিপোর্ট দেখে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. উম্মুল খায়ের রোগীর স্বজনদেরকে জানান বাচ্চা ডেলিভারি হতে আরও একমাস সময় বাকি আছে। রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে স্বজনরা পুনরায় ১৫ মার্চ ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার উম্মুল খায়ের মাহমুদা একপর্যায়ে বলেন, ‘রোগীর অবস্থা বেশী ভালো না। রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করা লাগতে পারে। আপনারা রোগীকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যান।’ তখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তড়িঘড়ি করে রোগীকে ঢাকায় পাঠিানো হয়। ঢাকার একটি হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে ডাক্তার দেখেন তিন থেকে চার দিন আগেই নবজাতকটি গর্ভাবস্থায় মারা গেছে। দ্বায়িত্বশীল ডাক্তারের দেওয়া ভুল তথ্যের ফলেই নবজাতকটি মারা যায়, বলেন চিকিৎসক।
তাই ভুক্তভোগী পরিবার সঠিক তদন্তের মাধ্যে অভিযুক্ত ডা. আমিন উদ্দিন আহম্মেদ, ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদা ও ডা. ফারজানা রহমানের বিচারের দাবি জানান।
এ ঘটনায় প্রসূতি নারীর স্বামী আজাহারুল ইসলাম খান শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় বাদী হয়ে আবেদীন হাসপাতালের ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/প্রতিনিধি/এসআইএস)

মন্তব্য করুন