নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে যে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব থেকে নারী বঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণের নির্দেশিকা ও নীতিমালা প্রণয়ন করে তা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি কমিটি গঠনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে থিঙ্ক লিগ্যাল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারীপক্ষ এবং একাডেমি অব ল অ্যান্ড পলিসি (আলাপ) যৌথভাবে এ রিটটি করে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, আইনজীবী রাশনা ইমাম, মাসুদা রেহানা বেগম ও আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পরে ব্লাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রুলে অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন-১৮৯০ এর ১৯ (খ) ধারাকে কেন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনকারী এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না– তা জানতে চেয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে নির্দেশিকা ও নীতিমালাটি রুল জারির চার মাসের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার জন্য ওই মন্ত্রণালয় এবং কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতের আদেশের পর আইনজীবী মাসুদা রেহানা বেগম বলেন, নারীর মানবাধিকার নিশ্চিতের পথে এটি যুগান্তকারী আদেশ। সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণবিষয়ক এ আইনটি একবিংশ শতাব্দীতে কোনোভাবেই প্রযোজ্য হতে পারে না। আইনটি সংশোধন হলে সমাজে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, আদেশটি পরিবারের অভ্যন্তরীণ এবং শিশুদের অভিভাবকত্ব বিষয়ক অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/পিএস)