জিবরাঈল (আ.) যেভাবে অজু শিখিয়েছেন মহানবী (সা.)-কে

ইসলাম ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৫৯

ফরজের নামাজের বিধান নাজিলের পর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফেরেশতা জিবরাঈল (আ.) এসেছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে। মহানবীকে (সা.)তাকে অজু ও নামাজ পড়ার পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছিলেন।

মহানবী (সা.) তখন মক্কার একটি উঁচু জায়গায় ছিলেন। জিবরাঈল (আ.)তখন তাঁর পেছন দিকে সমতল ভূমির এক প্রান্তে নিজের পায়ের গোড়ালি দিয়ে আঘাত করলেন। তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে একটি ঝর্ণা বের হলো। তখন জিবরাঈল (আ.) অজু করলেন এবং রাসূল (সা.) তা দেখলেন।

জিবরাঈল (আ.)-এরঅজু করার উদ্দেশ্য ছিল, যেন রাসূল (সা.) তাঁর ‍অজু দেখে নিজে অজু ও নামাজের পদ্ধতি জেনে নিতে পারেন। এরপর রাসূল (সা.) জিবরাঈল (আ.)-কে যেভাবে অজু করতে দেখেছেন সেভাবে অজু করলেন। তারপর জিবরাঈল (আ.) রাসূল (সা.)-কে নিয়ে নামাজ আদায় করলেন।

প্রথমদিকে প্রতি ওয়াক্তে দুই রাকাত করে নামাজ আদায় করা ফরজ ছিল। এরপর মুকীম অবস্থায় তা বাড়িয়ে চার রাকাত করা হয় এবং মুসাফির অবস্থায় আগের দুই রাকাতই বহাল রাখা হয়। (সীরাতুন্নাবী সা. ১/২২৪)

রাসূল (সা.)-কে নিয়ে জিবরাঈল আ.-এর নামাজ আদায়ের বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেন—

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জিবরাইল (আ.) কাবা শরিফের চত্বরে দুইবার আমার নামাজে ইমামতি করেছেন। তিনি প্রথমবার জোহরের নামাজ আদায় করালেন যখন প্রতিটি জিনিসের ছায়া জুতার ফিতার মতো ছিল। অতঃপর তিনি আসরের নামাজ আদায় করালেন যখন কোনো বস্তুর ছায়া তার সমান ছিল।

অতঃপর মাগরিবের নামাজ আদায় করালেন যখন সূর্য ডুবে গেল এবং যে সময়ে রোজাদার ইফতার করেন। অতঃপর ইশার নামাজ আদায় করালেন যখন লাল বর্ণ অদৃশ্য হয়ে গেল। অতঃপর ফজরের নামাজ আদায় করালেন যখন ভোর বিদ্যুতের মতো আলোকিত হলো এবং যে সময় রোজাদারের ওপর পানাহার হারাম হয়।

তিনি (জিবরাইল) দ্বিতীয় দিন জোহরের নামাজ আদায় করালেন যখন কোনো বস্তুর ছায়া তার সমান হলো এবং পূর্ববর্তী দিন ঠিক যে সময় আসরের নামাজ আদায় করেছিলেন। অতঃপর আসরের নামাজ আদায় করালেন যখন কোনো বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হল। অতঃপর মাগরিবের নামাজ আদায় করালেন পূর্বের দিনের সময়ে।

অতঃপর ইশার নামাজ আদায় করালেন যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ চলে গেল এবং ফজরের নামাজ আদায় করালেন যখন জমিন আলোকিত হয়ে গেল। অতঃপর জিবরাইল (আ.) আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, হে মুহাম্মদ! এটাই হলো আপনার পূর্ববর্তী নবীদের (নামাজের) ওয়াক্ত। নামাজের ওয়াক্ত এই দুই সীমার মাঝখানে।’ (মেশকাত: ৫৮৩; আবু দাউদ: ৪১৬)।

(ঢাকাটাইমস/০৩মে/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :