ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৬ মে ২০২৪, ১৪:২৯ | প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৪, ১৪:০৬

দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

রবিবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে ঝড় শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সব যানবাহন, লঞ্চ-স্টিমার চলাচল করছে, সেগুলো বন্ধ থাকবে। এমনকি যে বঙ্গবন্ধু টানেল রয়েছে, সেটিও আজ সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে। তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে।”

ইতোমধ্যে ৮ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাকিদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল আমরা বলেছিলাম আজকে ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড় শুরু হতে পারে। ঝড়ের গতি কম ছিল বলে আজ ভোরে আসেনি। গতকালকে গতিবেগ ছিল ১৬ থেকে ১৭ কিলোমিটার। ভোরে এটার গতি কমে দশের নিচে চলে আসে। পরবর্তীতে ৬ কিলোমিটারে আসে। যার জন্য এটা সময় মতো এখনো পৌঁছেনি। তবে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এটা মহাবিপৎসংকেতে পরিণত হয়েছে এবং আজ সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম ভাগ অতিক্রম শুরু হবে। মধ্যরাতে মূল যে ঝড় সেটা বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।’

মহিববুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত প্লাবিত হতে পারে। যদি জোয়ার থাকে এটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে খাবার এবং বিভিন্ন উপকরণ পৌঁছে গেছে। মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মেডিকেল টিমগুলো প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। পেছনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়কে আরও শক্তভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমরা সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করি নির্দেশনাগুলো যেভাবে দিচ্ছি, সবাই যদি তা পালন করে, এই দুর্যোগ পূর্বের মতো সক্ষমভাবে মোকাবিলা করতে পারব।’

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/টিআই/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :