পাথরঘাটায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ধেয়ে আসা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল সকাল থেকেই উপকূলে তীব্র আঘাত হানতে শুরু করেছে। সর্বশেষ আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ পটুয়াখালীর ক্ষেপুপাড়া উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তাই পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে রবিবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিষখালী নদী। জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ উপচে প্রবেশ করছে লোকালয়ে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
পানির চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল থেকেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কাকচিড়া বাজার থেকে কালিবাড়ি হয়ে বাইনচটকী ফেরিঘাট পর্যন্ত সংরক্ষিত বেড়িবাঁধ টপকে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে এলাকাবাসী নিজ বসত ছেড়ে উঠছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। আবার কেউ দূরে আত্মীয় স্বজনদের কাছে গিয়ে ঠাঁই খোঁজার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয়রা জানান, যে বেড়িবাঁধ রয়েছে তা মোটেই টেকসই না, যেকোনো সময় বেড়িবাঁধ ছিঁড়ে প্লাবিত হতে পারে পুরো এলাকা। বেড়িবাঁধ ছিঁড়ে গেলে কাকচিড়ার পাশাপাশি রায়হানপুর ইউনিয়নও বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এ থেকে রক্ষায় ভবিষ্যতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু জানান, কাকচিড়া মাঝের চরসহ তার ইউনিয়নে মোট ৯টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে মোমবাতি ও শুকনা খাবারসহ যাবতীয় সুবিধা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা যায়, পাথরঘাটা উপজেলায় মোট ১৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব থেকে নিরাপদ থাকতে সকল আশ্রয় কেন্দ্র উন্মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের সদস্যরা এলাকায় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬মে/প্রতিনিধি/পিএস)
মন্তব্য করুন