হুতির হামলায় ডুবে যাওয়ার শঙ্কায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রিক জাহাজ

ইয়েমেনের এডেন উপসাগরে গ্রিসের মালিকানাধীন একটি বাণ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এতে জাহাজটি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং ডুবে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা অ্যামব্রে। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অ্যামব্রে জানিয়েছে, মালয়েশিয়া থেকে ইতালির ভেনিস যাওয়ার সময় ইয়েমেনের উপকূল থেকে প্রায় ১২৯ নটিক্যাল মাইল পূর্বে অবস্থানরত জাহাজটিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। প্রাথমিকভাবে এই হামলার পেছনে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করছে অ্যামব্রে।
পৃথকভাবে ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স (ইউকেএমটিও) সংস্থা জানায়, তারা ইয়েমেন উপকূল থেকে ৯৮ নটিক্যাল মাইল দূরের একটি জাহাজ থেকে হামলার একটি রিপোর্ট পেয়েছে।
মার্কিন নৌবাহিনীর ৫ম নৌবহর এই হামলার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এদিকে হুতি বিদ্রেহীরা বুধবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরের কাছে লোহিত সাগরে একটি গ্রিক মালিকানাধীন ও পণ্যবাহী জাহাজ ছোট জলযান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে।
গোষ্ঠীটি বলছে, হামলায় জাহাজটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং পানি উঠতে শুরু করেছে। জাহাজটির জরুরি সাহায্য প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে হুতি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থন জানিয়ে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচলরত বাণিজ্যিক জাহাজে- বিশেষ করে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত বেশকয়েকটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যদিও হুতিদের আক্রমণ থেকে লোহিত সাগরের এ সমুদ্র পথকে নিরাপদ রাখতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডাসহ ১০টি দেশ নিয়ে সামুদ্রিক জোট গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও হুতিদের ঠেকাতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। তবে বিভিন্ন জাহাজে হামলার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, হুতিদের ঠেকাতে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের কোনো পদক্ষেপই তেমন কার্যকরি হচ্ছে না।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/এমআর)

মন্তব্য করুন