চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যাকাণ্ড: পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সালামের পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম ও স্কুল শিক্ষক মতিন আলীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহত সালামের পরিবার। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে এ ঘটনা ঘটত না বলে দাবি তাদের।
এ ঘটনায় নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান আশরাফ হোসেনকে দায়ী করে নিহত সালামের পরিবার জানান, এর আগেও সালামের উপর হামলা করা হয়েছিল। ওই সময় সালাম পুলিশের কাছে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ ঘটনা ঘটত না বলে জানান তারা।
নিহত সালামের স্ত্রীর অভিযোগ, নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান আশরাফ হোসেন পরিকল্পিতভাবে সালামকে হত্যা করেছে। ওই দিন আশরাফ হোসেনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের মীমাংসা করার কথা ছিল। তাই রানীহাটি কলেজ মোড়ে গিয়েছিল সালাম। কিন্তু সালামকে ডেকে নিয়ে আশরাফ হোসেন ও তার লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে আশরাফ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তালাবদ্ধ, কেউ নেই।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ঢাকা টাইমসকে জানান, নয়ালাভাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সালাম ও আশরাফের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এই বিরোধের জের ধরে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রানীহাটি কলেজের সামনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে বসে ছিলেন নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালামসহ তার সঙ্গীরা। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জন মুখে গামছা বেঁধে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ও এতোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুস সালাম। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্কুল শিক্ষক মতিন আলীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/পিএস)

মন্তব্য করুন