নানা ঘটনার ঘনঘটা ঘটায় দেশ
এই মুহূর্তে দেশে নানা আকর্ষিক ঘটনা একের পর এক ঘটে চলছে। সিলেট, কুড়িগ্রাম, যুমুনা তীরবর্তী জেলাসমূহে আকর্ষিক বন্যায় অনেকগুলো জেলা প্লাবিত হয়ে আছে। সিলেট পরপর ৩ বার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এবার জকিগঞ্জ এলাকায় বিরাট সংখ্যক মানুষের বসবাসের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তা ও বাঁধ ভেঙে গ্রাম ফসলের মাঠ এমনকি উপজেলা শহর এলাকা ডুবে গেছে। সেখানে এক অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা চলছে বসবাসকারী মানুষদের জীবনে। গবাদি পশু ও পাখি এই বন্যার তোড়ে অনেক জায়গায় ভেসেও গেছে। প্রশাসন যে ত্রাণ বিতরণ করছে তা সব মানুষের নাগালের মধ্যে পৌঁছানো খুবই দুঃসাধ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে কুড়িগ্রাম, জামালপুর ,বাহাদুরাবাদ ঘাট অঞ্চল বগুড়ার সারিয়াকান্দি সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের অবস্থাও বেশ দুর্যোগপূর্ণ বলেই গণমাধ্যমগুলো সংবাদ পরিবেশন করছে।
আকর্ষিক এই বন্যায় বিরাট অঞ্চলের মানুষ এখন বাড়ি ঘরে থাকতে পারছে না। তাদের গৃহপালিত পশুপাখি ও রক্ষা করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন চরে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার মতো উঁচু বাঁধ বা ভূমিও অনেক জায়গায় নেই। বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোতে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোতেই অনেকে কোনো প্রকারে ঠাঁই নিয়েছে। কিন্তু সমস্যা অনেকগুলো তীব্রতর হয়েছে। বানভাসী মানুষের মধ্যে খাবার সরবরাহ করা, গৃহপালিত পশু ও পাখি রক্ষা করা, নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ-আক্রান্ত মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হওয়া জ্বর, ডায়রিয়া চর্ম রোগের ঔষধ সরবরাহ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। মূলত আকর্ষিকভাবে এই অঞ্চলগুলো ডুবে যাওয়ার কারণেই ত্রাণ, আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি শিশু ও গোখাদ্য-এর সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। উজানের পানি এখন নিচের দিকে ভাটির দিকে নামছে কিন্তু ভারতের বন্যা কবলিত এলাকার পানি চাপ অব্যাহত রাখায় সিলেটসহ উত্তরাঞ্চলে অনেকটাই যেন ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘা’ তৈরি হয়েছে। বন্যার এই দুর্যোগ সংগঠিত এলাকায় মানুষের জন্য এই মুহূর্তে বেশ কঠিন এক লড়াইয়ের মতোই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকারের কিছু সহযোগিতা ব্যতীত অন্য অঞ্চল থেকে স্বেচ্ছাসেবী মানুষের উপস্থিতি খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় মানুষের বসবাস জীবনযাপনের সংকট আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি আগামী ফসল ফলানোর বীজ নষ্ট হওয়া, বাড়িঘর এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি মোটেও কম হবে না। এই অবস্থায় উপদ্রুত এলাকার মানুষের মাথা তুলে দাঁড়াতে সরকারি এবং বেসরকারি সহযোগিতা এখনই প্রয়োজন।
বর্ষার এই মৌসুমে পাবলিক পরীক্ষা কিংবা স্কুল পরীক্ষা একেবারেই অসম্ভব বিষয়। এ বছর এই সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা চলছে আবার একইসঙ্গে স্কুল পর্যায়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে। আকর্ষিকভাবে বন্যা কবলিত এলাকায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা কর্তৃপক্ষের পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়। স্কুলের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় এবার শিক্ষামন্ত্রণালয় দেশব্যাপী একই প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। কিন্তু এরই মধ্যে প্রথমদিনের পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ইউটিউবে ছড়াছড়ির মাধ্যমে পরীক্ষার বিপর্যয় ঘটানো হয়েছে, তা কর্তৃপক্ষের ওপর কোনো প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হয়নি। কিন্তু যে পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র বিতরণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে এটি শতভাগ নিশ্চিত ছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে, উত্তরপত্র মূল্যায়নে তেমন কোনো সমস্যা বা ক্ষতির সম্মুখীন শিক্ষার্থীরা হবে না।
সারা দেশে যেখানে অষ্টম, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার একদিন আগেই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পেয়ে যাচ্ছে এরপরও কর্তৃপক্ষ যা দাবি করছে তা কতটা শোভনীয় হচ্ছে! নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষা আদতেই যে একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে তা কর্তৃপক্ষ কীভাবে অস্বীকার করবেন।
কেনই-বা তারা দেশব্যাপী একই প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো! প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিজ্ঞতা তো আমাদের দেশে বহু বহু পুরাতন। এখন প্রযুক্তির নানা কারসাজি যেখানে মোটেও বন্ধ করা যাচ্ছে না সেখানে স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষার অভিন্ন প্রশ্নপত্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া একেবারেই বিবেচনাপ্রসূত ছিল না। প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন এমন একটি সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছে। সরকার যে নতুন শিক্ষাক্রম স্কুল পর্যায়ে প্রবর্তন করেছে সেটিকেই এই পরীক্ষা বিতর্কিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন এর কী জবাব দেবে।
গত কয়েক বছরের আয়োজন, অর্থখরচ, প্রশিক্ষণ প্রদান অনেকটাই যেন ভেস্তে যেতে বসেছে। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের কোনো বিরোপ মন্তব্য ছিল না। নতুন শিক্ষক্রমটি অধিকতর সৃজনশীল বাস্তবমুখী এতেও কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যত চমৎকার শিক্ষাক্রমই হোক না কেনো এর সফল বাস্তবায়ন অনুঘটক হচ্ছেন আমাদের শিক্ষকগণ। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু যত আধুনিক বা উন্নত শিক্ষাক্রম দেখে প্রবর্তন করা হোক না কেন আমাদের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকই অনেক পুরাতন। পুরাতন শিক্ষাক্রম এ অভ্যস্ত তাদের প্রস্তুত হওয়া বা করার বিষয়টি মোটেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাওয়া পাওয়ার উপর নির্ভর করার মতো নয়। দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বলা চলে পশ্চাৎপদ ধ্যান-ধারণা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বেশির ভাগ শিক্ষকেরই নতুনত্বকে গ্রহণ করা এবং বোঝা এবং আত্মস্থ করার সক্ষমতা রয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সুতরাং চমৎকার শিক্ষাক্রম ও মানসম্মত বই-পুস্তক সরবরাহ করলেই রাতারাতি এই শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে ফেলবেন কিংবা ফেলতে সক্ষম হবেন এমনটি আসা করা যায় না। শিক্ষার্থীদেরও তো পূর্ববর্তী শ্রেণিপাঠ লেখাপড়া পূর্ববর্তী শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ঘটেছে। ফলে তারাও তো এ ধরনের একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম বুঝে উঠার জন্য প্রস্তুত নয়। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবকই এ ধরনের লেখাপড়া সম্পর্কে খুব একটা সচেতন নন। বলা হয়েছিল প্রবর্তিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে এখন আর কোনো কোচিং কিংবা গাইড বই থাকবে না। কিন্তু বাস্তবে এর কিছুই পরিবর্তিত হয়নি।ফলে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা নিতে গিয়ে যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে কেউ কেউ আক্ষেপ করতে পারেন । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেওয়ার উপদেশও দিতে পারেন। কিন্তু সত্যিকার মেধার বিকাশ বাংলাদেশের স্কুল পর্যায়ে ঘটানোর মতো বাস্তবতা আশা করা বোধহয় খুবই দূরের বিষয়। বহু যুগ থেকে বিজ্ঞানের প্রায়োগিক পরীক্ষা স্কুলশিক্ষকদের তত্ত্বাবধায়নে হয়ে থাকে কিন্তু সেখানে কী ঘটে? অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের ভালো নম্বর নিতে হয়। এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ভরসা করলে ও সততার প্রমাণ রাখবে খুব অল্প সংখ্যক প্রতিষ্ঠানই। বেশির ভাগই অর্থের লেনদেনের প্রসার ঘটবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এই মুহূর্তে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা প্রত্যয় স্কিম-এর বিরোধিতা করে আন্দোলনে আছে। কেন এমন একটি ব্যবস্থায় সরকারকে যেতে হলো তা অনেকের কাছেই বোধগম্য নয়। কেনই-বা সরকার শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করছে না তাও বোঝা যাচ্ছে না। আবার অন্যদিকে সরকারি চাকুরীতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের পুনরাবির্ভাব ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা আবার রাস্তায় নেমেছে। সরকার যদিও এই বিষয়ে ১৮ সালেই কোটা প্রথার পুনর্মূল্যায়ন করে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। সেটি দেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণ করে মতামত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে আবার রাস্তায় সরবই নয় অবরোধও করার চেষ্টা করছে, নানা ধরনের যুক্তি, উক্তি এবং মুক্তিরও দাবি করছে। দেশে সরকারি চাকুরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে একসময় অনেককিছুই ঘটে গেছে। এখনো আবার কেউ-কেউ নানা ঘটনা ঘটানোর পাঁয়তারা করছেন বলেই মনে হচ্ছে।
আমাদের বিশ্বাস দেশের সর্বোচ্চ আদালত আগামী কয়েক বছরের জন্য অন্তত এই সমস্যার যৌক্তিক গ্রহণযোগ্য ফয়সালা করে দেবেন। তবে দেশে মেধাবীদের জায়গা শিক্ষাক্ষেত্রে আরো বেশি বেশি হওয়া দরকার। কিন্তু সেখানেও যেসব নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তাতে প্রকৃত মেধাবীর চাইতে প্রতারকদের ফন্দি ফিকিরই বেশি সফল হয় বলে মনে হয়। আন্দোলনকারীরা কোটাবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে দেশে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনেরও আওয়াজ তুলেছে। এটি তাদের রাজনৈতিক না কি অনভিজ্ঞতাপ্রসূত উক্তি তা বোঝা গেল না। তরুণরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে দেশের ভবিষ্যৎ মঙ্গলজনক হওয়ার আশা করা যায়। এই আশাটি তো বহু আগে থেকেই করা হয়ে আসছে। কিন্তু কেন সেটি বাস্তবে ধরা দেয় না, থাকেও না। সেটি একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রশ্ন। আজকে যারা দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে কিংবা অভিযুক্ত হচ্ছে তরুণকালে তারাও দুর্নীতিবিরোধী ছিল বলেই আমাদের ধারণা। কিন্তু সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি, অর্থনীতি ও প্রশাসনকে যখন বিজ্ঞানহীনতা, শিল্পসাহিত্য ও সংস্কৃতির দীনতায় পরিচালিত করে তখন এসবের নিয়ন্ত্রকদের কতটা লোভাতুর করে ফেলে তা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা কামনা করবো আমাদের তরুণরা যেন দেশপ্রেম, সত্যিকারের মেধা, গবেষণা, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং বৈশ্বিক যুগোপযোগী জ্ঞান-বিজ্ঞানে নিজেদেরকে আলোকিত মানুষরূপে গড়ে তোলার শিক্ষাটিকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়ে থাকে, শুধু লাইব্রেরিতে গিয়ে সরকারি চাকরির পরীক্ষা কিংবা বিসিএস পরীক্ষায় নিজেদেরকে প্রস্তুতি নেওয়ার সীমাবদ্ধতার মধ্যেই আটকে না রাখে।
৬ই জুলাই পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পের সমাপ্তি ঘটালেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের বিগত দিনের ইতিহাসে পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক অবিশ্বাস্য কিছু ঘটেছে। একটি মহল এর বিরোধিতা করেছে, অবাস্তব বলেও প্রচার করেছে। কিন্তু বিদেশি অর্থ প্রাপ্তির উৎসে বাঁধাও দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির নানা কাল্পনিক প্রচার প্রচারণা করাও হয়েছে। এক সময় মনে হয়েছিল পদ্মাসেতু বোধ হয় স্বপ্নেই থেকে যাবে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবেই শুধু নন বাংলাদেশকে স্বপ্নচারিতার নেতা হিসেবেও মানুষকে পদ্মাসেতু বাস্তবে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তারপরও অনেকে বিশ্বাস করতে পারেনি পদ্মাসেতু হবে। পদ্মাসেতু শুধু ৮-১০ টা সেতুর মতোই হলো না। এটা বিশ্বমানের অত্যাচার্য যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবেও নিশ্চিত করেছে। ১ বছর আগে সাধারণ যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করেছে। এরপর রেল যাতায়াত ও শুরু হয়েছে। এখন এই প্রকল্পের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটিয়ে ৬ তারিখ দেশ ও বিদেশের মানুষকে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রদর্শন করা হয়েছে। এই সপ্তাহের এটি সবচাইতে বড়ো তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। অনেক ঘটনার ঘনঘটার মধ্যেই আমরা চলছি সত্য। কিন্তু আমাদের এই চলার মধ্যে নানা সমস্যা যেমন আছে সম্ভাবনারও বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। আজ ৮ই জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চীনে ৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গেছেন। আশা করা যাচ্ছে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতার নতুন দিগন্ত রচিত হবে। বাংলাদেশ এই অঞ্চলে আরও শক্তিশালী দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবে।মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী: ইতিহাসবিদ, কলাম লেখক এবং সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন