ব্যাংকিংখাতের দুরবস্থা নিরসনে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে: আহসান এইচ মনসুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২৪, ২৩:৪৬
অ- অ+

ব্যাংকিংখাতের বিদ্যমান সমস্যাসমূহ নিরসনে সরকারকে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের জোর সুপারিশ করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, আমানত ও তারল্য সঙ্কট, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ পরিস্থিতি ও ডলারের বিনিময় হারসহ বর্তমান অবস্থার উন্নয়নে সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।’ সেই সংস্কারে থাকতে হবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রতিফলন— যোগ করেন তিনি।

শনিবার অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে দুরবস্থার কারণ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

অনুষ্ঠানে ব্যাংক খাতের বর্তমান অবস্থার ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি ওবায়দুল্লাহ রনি ও প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার সানাউল্লাহ সাকিব।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘১৯৮০ দশকেও খেলাপি ঋণ ছিলো। কিন্তু ৯০ এর প্রথমদিকে ব্যাংকিংখাতে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন খুব সফল হয়েছিলো। এর ভালো সুফল পাওয়া গিয়েছিল।

সাধারণ নীতি মানতে হবে উল্লে করে তিনি আরও বলেন, ‘আউট অব দ্য বক্স দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে না। দেরিতে হলেও সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। বিনিময়হার কিছুটা হলেও বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। এটা ভালো খবর যে সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে সরকার টাকা ছাপিয়ে ধার করেনি। বরং আগের নেয়া ধারের কিছু টাকা পরিশোধ করেছে। এই নীতির ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। নীতি সুদহার আরও বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নিতে হবে। তবে সবকিছুর পেছনে যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে এসব সম্ভব হবে না।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘টাকা ছাপিয়ে অচল ব্যাংক সচল রাখার দরকার নেই। আবার রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে মূল্যস্ফীতি কমবে না। ডলারের দর বাজারভিত্তিক হয়েছে, সুদহার বেড়েছে। ফলে এখন আর প্রণাদনার দরকার নেই। রেমিট্যান্সের প্রণোদনা দুবাই ভিত্তিক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী খেয়ে যাচ্ছে। আবার ইসলামী ব্যাংকগুলো উদ্ধারের নামে যদি টাকা ছাপানো অব্যাহত থাকে তাতেও মূল্যস্ফীতি কমবে না। এ ছাড়া ধার করে রিজার্ভ সাময়িক বাড়ানো যাবে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান না। বরং সঠিক নীতির মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়াতে হবে। তা না হলে ১৩ বিলিয়ন রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে ৪শ’ বিলিয়ন জিডিপির দেশ ঠিক রাখা যাবে না।’

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাত বিশিষ্ট ব্যক্তির স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
আজ রাতে এক মিনিট অন্ধকারে থাকবে সারা দেশ, কেন এ ‘ব্ল্যাক আউট’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নে যা বললেন মুখপাত্র
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা