হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন, সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শনির আখড়া

রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফ্লাইওভারের কাজলা প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে। দাউদাউ করে আগুন জ্বললেও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এদিকে শনির আখড়ায় বুধবার দিনভর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার পর সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। রাত ১০টার পর সংঘর্ষ আর না হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আন্দোলনকারীরা দুই দিকে অবস্থান নেয়। এতে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলমান থাকায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। পরে তারা স্টেশনে ফেরত যান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি কাজ করছে। সেইসঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ছুড়ে কোটা আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার জানান, টোল প্লাজায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দুটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ প্রটেকশনের অভাবে রাস্তায় আটকে থাকে এবং পরে ফেরত যায়।
সন্ধ্যায় সেখানে সংঘর্ষের সময় পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই বছরের এক শিশুও রয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ইরান, সোহাগ, বাবু মিয়া ও তার শিশুপুত্র রোহিত মিয়া এবং স্কুলছাত্র মাহিম আহমেদ। আহত ব্যবসায়ী বাবু মিয়া বলেন, তিনি দনিয়া এলাকায় শিশুসন্তান রোহিতকে নিয়ে বাসার ফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন পুলিশের ছোড়া ছররা গুলি তাঁর ও ছেলের গায়ে লাগে।
যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। সন্ধ্যার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হয়েছে কি না, তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
রাত ১০টার পর ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা যাত্রাবাড়ী থানার আশপাশে অবস্থান নিয়ে আছেন। অন্য দিকে কাজলা এলাকায় আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছেন।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এসএস/কেএম)

মন্তব্য করুন