মহাখালীতে নাশকতায় গান পাউডার ব্যবহার হয়: ডিবি
রাজধানীর মহাখালীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দুর্বৃত্তরা সরকারি বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনায় আগুন দিয়েছে। এসব আগুনে তারা গান পাউডার ব্যবহার করেছে। দুর্বৃত্তরা কীভাবে, কার মাধ্যমে গান পাউডার ও অস্ত্র এনেছে তা বের করতে গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে।
বুধবার বিকালে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এদিন মহাখালীতে আগুন দেয়ার ঘটনায় নয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে সংস্থাটি। পরে গণমাধ্যমে কথা বলেন হারুন।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, তারা (নাশকতাকারীরা) চেয়েছিলো সরকার উৎখাত করতে। দেশে কোটা আন্দোলন চলছে আর তারা ঢাকার বর্ডার এলাকায় বসে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করেছে। আমরা সবার নাম পরিচয় পেয়েছি। তারা কীভাবে কার মাধ্যমে গান পাউডার ও অস্ত্র এনেছে বের করা হবে।
হারুন অর রশীদ বলেন, 'আন্দোলনের নামে ঢাকা শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়েছে। মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা ও আহত করেছে। তথ্য প্রযুক্তি ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালায়। হামলার রসদ সরবরাহ করার তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে আছে।'
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে। পুলিশকে হত্যা, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ডাটা সেন্টার, বিটিভি, আমাদের গর্বের মেট্রোরেলে হামলা করেছে। সব জায়গায় গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা ৭১ সালের মতো পুরনো দিনে ফিরে গেছে।'
কোটা সংস্কারের নামে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার রাজধানী জুড়ে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা মহাখালীর সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ভবন, মহাখালী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে বহু সরকারি গাড়ি ও মূল্যবান জিনিস আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়েছে। রাজধানী জুড়ে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫৪টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় একহাজার ৮০০ জন। যারা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী এবং সরাসরি নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ দাবি করেন, মহাখালীর সেতু ভবনে জামায়াত শিবির ও বিএনপির কিছু নেতা টাকা-পয়সা দিয়ে সাততলা বস্তি এবং কুড়িল বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন সংগ্রহ করেছে। এরপর মহাখালীতে জড়ো হয়ে ইট-পাটকেল শুরু করে। পরবর্তীতে তারা সেতু ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং লুটপাট চালায়।
তিনি আরও দাবি করেন, এসব ঘটনার পর তাদের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। তাতে তারা কীভাবে আগুন লাগিয়েছে এবং মালামাল লুটপাট করেছে জড়িত এমন অনেকের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ মারার জন্য টাকা ও আগুন দেওয়ার জন্যও টাকা দেওয়ার ঘোষনা দেওয়া হয়েছিল। কে নির্দেশনা দিয়েছে, কারা অর্থায়ন করেছে সব বের করা হবে বলেও জানান ডিএমপির এই ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা।
ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এসএস

মন্তব্য করুন