পদ্মায় স্পিডবোট উল্টে নিখোঁজ নৌপুলিশ সদস্যের খোঁজ মেলেনি ৭ দিনেও
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট উল্টে নিখোঁজ নৌপুলিশ সদস্য মেজবা উদ্দিনের (৫৫) খোঁজ মেলেনি সাত দিনেও। তাকে উদ্ধারে নেই তেমন কোনো তৎপরতা। নিখোঁজ মেজবা উদ্দিন শিবচর উপজেলার চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তার বাড়ি ঝালকাঠিতে।
গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকালে ট্রলারযোগে কাঁঠালবাড়ি থেকে মাওয়ায় পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছে মানুষ- এমন খবর আসে নৌপুলিশের কাছে। এরপর শিবচরের চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. ইলিয়াস হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক সুমন মিয়া, কনস্টেবল আতাউর রহমান, নূরে আলম, মাইনুল হোসেন ও মেজবা উদ্দিনের সমন্বয়ে একটি দল স্পিডবোট নিয়ে পদ্মা নদীতে টহলে যায়।
এ সময় পদ্মার ঢেউয়ে নৌপুলিশের স্পিডবোটটি উল্টে যায়। ঘটনার পর বাকিরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন মেজবা উদ্দিন। গত কয়েকদিন ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন এবং সংঘর্ষের কারণে তাকে উদ্ধারে অভিযানে বেগ পেতে হয় বিভিন্ন দপ্তরকে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মেজবা উদ্দিনের খোঁজ মেলেনি। তবে পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টের উদ্ধার তৎপরতা বাড়ানোর কথা জানায় কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ।
শিবচর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার তপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘জেলাজুড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন এবং সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ নৌপুলিশ সদস্যকে উদ্ধারে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে। তবুও নৌপুলিশের সহযোগিতায় চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
শিবচরের চরজানাজাত নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই পদ্মানদীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে মেজবা উদ্দিনের সন্ধান মেলেনি। তবুও চেষ্টা চলছে।’
মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার গোলদার বলেন, ‘পদ্মা নদীতে ডিউটি চলাকালে নিখোঁজ নৌপুলিশ সদস্যের এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সঙ্গে থাকা বাকিরা সুস্থ আছেন।’
(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এজে)