১৭৭২টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতিসহ এমপিওভুক্তির দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি

১৭৭২টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতিসহ এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বুধবার সকাল থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে জড়ো হয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে ‘এক দফা এক দাবি, স্বীকৃতি চাই স্বীকৃতি চাই’; ‘দাবি মোদের একটাই, এমপিও চাই এমপিও চাই’; ‘প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের বৈষম্য, দূর করো করতে হবে’; ‘মানি না মানবো না, বৈষম্য মানবো না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯ ইং এর প্রেক্ষিতে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিশেষ বিদ্যালয়সমূহের পাঠদান স্বীকৃতি/এমপিওভুক্তির আবেদন আহ্বান করা হয়। যার আলোকে সারাদেশ থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে প্রায় ১৭৭২টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় আবেদন করে। আবেদনকৃত বিদ্যালয়গুলো পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই পূর্বক তিনটি ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। এমতাবস্থায় অজ্ঞাতকারণে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। অদ্যাবধি বিদ্যালয়গুলোর পরিদর্শন, অনুমোদন, এমপিওর কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দেশের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হয়। দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময় ধরে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তির কাজ না হওয়ায়, আজও বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা বৈষম্যের জাঁতাকলে নিপীড়িত নিষ্পেষিত মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারপরও প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, বিভিন্ন ধরনের থেরাপী চিকিৎসা সেবা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে সমাজের মূল শ্রোতধারায় নিয়ে আসার কাজ অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে অবহেলিত নিষ্পেষিত এই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী এবং তাদের সেবায় নিয়োজিত সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দের অগ্রযাত্রাকে গতি ফিরিয়ে আনতে দেশরক্ষার কান্ডারী ও বিশ্বনন্দিত নোবেল বিজয়ী বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এমআই/ইএস)

মন্তব্য করুন