কুবি সমন্বয়কের বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

কুবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৩৩
অ- অ+

'আপনাদের বলতে চাই আমরা ৫ আগস্ট আমাদের সংগ্রামের যে সফলতা পেয়েছি সিটি মূলত ২০১৩ সালের ৫ই মে হেফাজতের যে রক্ত ঝরেছিল ওই রক্ত থেকে প্রেরণা পাওয়া।’ কথাগুলো বলেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের একজন আবু মুহাম্মদ রায়হান। তার এ বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেস বুকে।

বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শিক্ষার্থীরা জানান, তার এই বক্তব্য আন্দোলনকে বিতর্কিত করে তুলবে। প্রতিবেদনের স্বার্থে ভিডিওটি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

অনুষ্ঠানে রায়হান আরও বলেন, 'স্বাধীন বাংলাদেশে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পেরে আমি খুব গর্বিত অনুভব করছি। আসলে এর আগেও বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের দাওয়াত দিয়েছে, সব জায়গায় না গেলেও আলেম ওলামাদের সম্মানে এই দাওয়াত কবুল করেছি আমরা। আর আপনাদের বলতে চাই ‘আমরা ৫ আগস্ট আমাদের সংগ্রামের যে সফলতা পেয়েছি এটা মূলত ৫ ই মে হেফাজতের যে রক্ত ঝরেছিল এই রক্ত থেকে প্রেরণা পাওয়া।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আবু মুহাম্মদ রায়হান বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচ লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী।

এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সুনীতি - শান্তি হলের’ আবাসিক শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার বলেন, 'এই আন্দোলনের শুরুটা কোটা নিয়ে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্রিত হয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে এক দফা আন্দোলনে উপনীত হয়েছে। হেফাজত, জামাত, শিবিরসহ অন্যান্য অনেকেরই ভূমিকা আছে, তা অস্বীকার করবো না। কিন্তু ২০১৩ সালের ৫ই মে-এর উপর ভিত্তি করে এই আন্দোলন শুরু হয়নি।

কাজী নজরুল ইসলাম হলের ফাহিম অবরার বলেন, 'রায়হান ভাই হলের এক জায়গায় বলেছেন, হলের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেছিল, ওরা কি দেশ স্বাধীন করেছে? তার হিসেবে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো আন্দোলন করেনি। অথচ, জুন মাস থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত হল ব্যতীত কুমিল্লায় বাইরের কেউ আন্দোলনে যোগ দেয়নি, এমন কি আবু রায়হান কে দেখা গেছে ১৫ তারিখ এর পর। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। সাবেক একজন শিক্ষার্থী হয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীদের উপর তার দাবি-দাওয়া চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা চাই না সমন্বয়ক পরিচয়ে কোনো সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমান শিক্ষার্থীদের উপর প্রেসার দিক।'

অভিযোগ সমূহের বিষয় জানতে আবু মুহাম্মদ রায়হানকে ফোন করলে তিনি বলেন, 'আমি বক্তব্যটা আলেম সমাজের সাথে ছাত্র সমাজ আছে এবং তাদের উপরে যে হত্যাকাণ্ড স্বৈরাচারী সরকার চালিয়েছিল তার প্রতিবাদের ভিত্তিতে বলেছি।'

তিনি একজন সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থীরা যখন সিনিয়র কেউ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকুক চেয়েছিল তার ভিত্তিতেই তিনি এসেছেন। এখন যদি তাকে সিনিয়র হিসেবে শিক্ষার্থীরা এখানে না চায় তাহলে তিনি এখান থেকে সরে যাবেন বলেও জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শেখ হাসিনার অপকর্মের খবর রাখতেন বলেই সাগর-রুনিকে হত্যা করা হয়েছে: সালাম আজাদ
আল্লামা সুলতান যওক নদভীর ইন্তেকালে জামায়াত আমিরের শোক
এমন দেশ চাই যেখানে ফ্যাসিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না: ব্যারিস্টার অসীম
বগুড়ায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা