বেলজিয়ামে সর্ব ইউরোপিয়ান আ.লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সামনে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের আয়োজনে এবং বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সার্বিক সহযোগিতায় শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সস্পাদক মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল হক এবং পরিচালনা করেন বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন।
এসময় বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান শরীফ, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদ মাহমুদ এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শান্তি সমাবেশে ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, স্পেন, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন।
শান্তি সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা, বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র, জামায়াত-শিবির-বিএনপি সারাদেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মন্দির-গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদেরকে হত্যা, পুলিশ-আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, বিটিভিসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, সরকারপ্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যার বিচার করতে হবে। সুনির্দিষ্টভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে আগুন দেওয়া হয়েছে তার বিচার করতে হবে। বিচার বিভাগসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যাদেরকে জোর করে অপসারণ করা হয়েছে তাদেরকে তাদের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
আগস্ট মাস থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নামে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
এছাড়াও বর্তমান সরকার বাক-স্বাধীনতার নামে বিভিন্ন মিডিয়া ও মানুষের কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।(ঢাকা টাইমস/০২সেপ্টেম্বর/এসএ)