নাইকো মামলা: একজনের সাক্ষ্য নিলেন আদালত, বাকিদের ১০ অক্টোবর

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬
অ- অ+
ফাইল ফটো

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।

এদিন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চার জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করেছিল। তাদের হাজিরাও প্রদান করা হয়। কিন্তু ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আলী আহসান এদিন একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে বাকিদের ১০ অক্টোবর সাক্ষ্য প্রদানের দিন ঠিক করেন।

এদিন সাক্ষ্য দেন বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল বাকী। তিনি গত ১৪ মে এ মামলায় আংশিক জবানবন্দি দেন। এরপর গত ১১ জুনও আংশিক জবানবন্দি দেন। সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার অবশিষ্ট জবানবন্দির পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জেরা করে সাক্ষ্য শেষ করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম সাক্ষ্যগ্রহণে সহায়তা করেন।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার বাকি ৬৪ জন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে সমন জারি করে ১২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন। কিন্তু ১২ সেপ্টেম্বর সাক্ষী হাজির না হওয়ায় দুদক সময় নিয়েছিল। আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভুইয়া বলেন, “মামলায় মোট সাক্ষী ৭০ জন। এর মধ্যে মামলার বাদী ও দুই কানাডিয়ানসহ ছয়জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। এই মামলায় খালেদা জিয়ার স্বশরীরে উপস্থিতি মওকুফ করা হয়েছে। আমরা আইনজীবীরা তার পক্ষে হাজিরা দিয়ে থাকি।”

গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আট আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন আদালত।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। অপর আসামিরা মারা গেছেন।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ায়’ রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তিনি ওইদিন মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর কারাগারে থাকাবস্থায় চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই বছর ৩০ অক্টোবর আপিলে খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে থাকার পর সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে দুটি শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে মুক্তির আদেশ দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/আরজেড/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রেললাইনে ভিডিও করতে গিয়ে ফটোগ্রাফারের মর্মান্তিক মৃত্যু
‘সাময়িকভাবে’ ফ্লাইট বন্ধ করলো নভোএয়ার
সিরাজগঞ্জে নেশার টাকা না দেওয়ায় ছেলের মারধরে প্রাণ গেল বাবার, মা আহত
আফতাবনগরে পশুর হাট না বসানোর দাবিতে মানববন্ধন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা