সাংবাদিকতার দায়বদ্ধতা: প্রসঙ্গ নৈতিক পেশাদারিত্বের অঙ্গীকার

আলী রেজা
  প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৫
অ- অ+

সংবাদপত্র সমাজ ও রাষ্ট্রের দর্পণ। সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত কী ঘটে চলেছে তা এই দর্পণে প্রতিভাত হয়। বলার অপেক্ষা রাখে না- বর্তমানে যেকোনো ধরনের সংবাদ, সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতা পুরোপুরিই পেশাদারিত্বের জায়গায় অঙ্গীভূত। আমি সাংবাদিকতা বিষয়ে একাডেমিক শিক্ষাপ্রাপ্ত নই; তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের ছাত্র হিসেবে পেশাগত নৈতিকতা বিষয়ে কিছুটা পড়াশোনা করেছি। সেই পুঁজিটুকু নিয়েই সংবাদপত্রসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং এর নেপথ্য কারিগরদের নৈতিকতা-অনৈতিকতার ব্যাপারে এখানে আমার কিছু ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরার প্রয়াস পেতে চাই। এই লেখার তেমন কোনো তাত্ত্বিক মূল্য যে নেই তা বলাই বাহুল; তবে আমি আমার চারপাশে যা দেখেছি বা প্রতিনিয়ত দেখছি সেখান থেকেই এই লেখার উপাদান সংগ্রহ করেছি। তাতে পাঠকের চাহিদা কিছুটা হলেও মিটবে বলে আশা করছি।

এ কথা স্বীকৃত যে, বর্তমান বিশ্বে গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী। গণমাধ্যমের শক্তি অতীতেও ছিল। কিন্তু এখন এ শক্তি বেড়েছে বহুগুণে। বেড়েছে নানা কারণে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে গণমাধ্যম বহুমুখী হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের পর্ণকুটির থেকে গণভবন- সবখানেই গণমাধ্যমের অবাধ বিচরণ। গণমাধ্যমের সংখ্যাও এখন অসংখ্য। প্রিন্ট পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গেছে যে, একজন পাঠক কিংবা দর্শকের পক্ষে সবগুলো গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

দেশে এখন প্রিন্ট পত্রিকার সংখ্যা পরিমাপ করা কঠিন। জাতীয় ও স্থানীয় বা আঞ্চলিক পত্রিকার মধ্যে যেগুলো নিবন্ধন পেয়েছে সেগুলোর সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব হলেও নিবন্ধনবিহীন পত্রিকাগুলোর সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। নিবন্ধনভুক্ত ও নিবন্ধনবিহীন এসব পত্রিকায় অসংখ্য সংবাদকর্মী নিয়োজিত আছেন। এরা প্রতিনিয়ত সারা দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনা, সমস্যা-সম্ভাবনা, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজ-সংস্কৃতির সংবাদ জনগণের সামনে তুলে ধরছেন। একই সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে প্রকাশ ও প্রচার হওয়ায় সাধারণ মানুষ অনেক সময়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যাচ্ছে। অথচ সঠিক তথ্য পাওয়া জনগণের অধিকার। জনগণের একটি বড়ো অংশ সংবাদপত্রের তথ্যগুলোকে সত্য বলে ধরে নেয়। ফলে তথ্যগুলোকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করা একজন সংবাদকর্মীর নৈতিক দায়িত্ব।

অডিয়ো-ভিজুয়াল গণমাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সরাসরি ঘটনাস্থলের চিত্র উপস্থাপন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে কোনো ঘটনা সামগ্রিকভাবে প্রদর্শন না করে আংশিক বা বিশেষ মতাদর্শিক অংশ প্রচার করা অনৈতিক। এতে একদিকে সংবাদকর্মীর পেশাদারিত্ব নষ্ট হয় অন্যদিকে গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতার জায়গাটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। টেলিভিশন চ্যানেল ছাড়াও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন যে কেউ যেকোনো ঘটনার বর্ণনা, ছবি ও ভিডিয়ো প্রকাশ করতে পারে। যেকোনো বিষয় সম্পর্কে নিজস্ব মতামত দিতে পারে। নিজস্ব মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে না। এই অপেশাদার লোকেরা অনেক সময় ফেইক আইডি খুলে বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করে থাকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সর্বাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে এখানে ব্যবহারকারীর নৈতিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের ক্ষেত্রে নৈতিকতার পাশাপাশি কিছু আইনগত বিষয়ও থাকে। ফলে মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার এক ধরনের বাধ্যবাধকতা আছে। সুতরাং এ বাধ্যবাধকতা প্রাতিষ্ঠানিক কারণেও যেমন আছে তেমনি নৈতিক কারণেও আছে। একটি ভুল সংবাদ প্রচার হওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র একটি ভুলের আবর্তে জড়িয়ে যায়। বিকৃত সংবাদ প্রচারের মাধ্যমেও একই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের আইনগত দিক পাশ কাটিয়ে চলার সুযোগ আছে। বিভিন্নভাবে সংবাদকর্মীরা এ সুযোগ তৈরি করে নিতে পারে। কিন্তু নৈতিক দিক যেহেতু মনোজাগতিক ব্যাপার সেহেতু নৈতিক দিককে এড়িয়ে চললে নিজের কাছে নিজেই ধরা পড়তে হয়। এ কারণে বিবেকের শাসন মেনে চলাটাই সবচেয়ে বড়ো নৈতিকতা। নৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করতে হলে বিবেকের শাসন মেনে চলতে হবে।

বর্তমান সময়ে এসে বেশিরভাগ গণমাধ্যমকর্মী অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে গেছে বলে মনে করা হয়। অবশ্য এ দুর্বলতার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের দায়ী করা চলে না। গণমাধ্যম যারা নিয়ন্ত্রণ করেন অর্থাৎ গণমাধ্যমের মালিকপক্ষ এর দায় এড়াতে পারেন না। মালিকপক্ষ যেহেতু পুঁজি বিনিয়োগ করে সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই তারা পুঁজির নিরাপত্তা ও মুনাফা লাভের চিন্তা করে থাকেন। গণমাধ্যমকে টিকে থাকার প্রতিযোগিতাও করতে হয়। ফলে গণমাধ্যম একটি ক্ষমতা বলয়ে বাঁধা পড়ে যায়। এ বাঁধন এমন যে এর ভেতরে থাকলেই নিরাপদ থাকা যায়। ফলে টিকে থাকার জন্য এবং অধিক সুবিধা লাভের আশায় অনেকেই ক্ষমতা বলয়ের বাইরে যান না কিংবা যেতে পারেন না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা হলেও এখানেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের শিকার হয়। এভাবে মালিকপক্ষ ক্ষমতাকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে এবং গণমাধ্যমকর্মীরা মালিকপক্ষের স্বার্থের বাইরে যেতে পারে না। ফলে গণমাধ্যম জনস্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ই আগস্ট সরকার পতন হলে সাংবাদিকদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। কেউ কেউ পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হয়েছেন। অনেক সাংবাদিক পদ-পদবি হারিয়েছেন। এগুলো দুঃখজনক ও অস্বাভাবিক বিষয়। তবে যারা পালিয়েছেন, গ্রেফতার হয়েছেন কিংবা পদ হারিয়েছেন তাদের লেজুড়বৃত্তি ও দালালি নিশ্চয়ই অযৌক্তিক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। গণমাধ্যমকে তারা গণমানুষের আকাক্সক্ষার জায়গায় ধরে রাখতে পারেনি। সরকারকে তুষ্ট করতে গিয়ে তারা জন-আকাক্সক্ষার কথা ভুলেই গিয়েছিল। এখানেই গণমাধ্যমকর্মীদের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে বলে মনে করা যায়। মালিকপক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক নিজেদের নৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। অনেকেরই নিজের চাকরি ও পরিবারের ভরণ-পোষণের চিন্তা করতে হয়েছে। এ বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু অনেক সাংবাদিক লেজুড়বৃত্তি ও সরকারের নির্লজ্জ দালালি করে অনেক অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন। অনেকে একাধিক গণমাধ্যমের মালিক হয়েছেন। সঙ্গে গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছেন। তাদের বিষয়টি ভিন্ন লেন্সে দেখার যৌক্তিকতা আছে। তারা গণশত্রুদের মুখোশ উন্মোচন না করে গণশত্রুদের দালালি করেছেন। বিনিময়ে পেয়েছেন অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা। অনেকক্ষেত্রে তাদের অনৈতিক সুবিধার বলি হয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে মুদ্রার অপর পিঠে নৈতিকতা ও পেশাদারিত্বের দৃষ্টান্তও কম নয়।

বর্তমান বিশ্বে সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। দুর্নীতিবাজ ও অপশক্তির মুখোশ উন্মোচন করতে গিয়ে অনেক সংবাদকর্মীকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক সময়ে সংবাদকর্মীর জীবন বিপন্ন হতে দেখা গেছে। যুদ্ধের ময়দান থেকে শুরু করে জুয়ার আসর পর্যন্ত বিচরণকারী অনেক সংবাদকর্মী পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করেন। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকগণ সঠিক সংবাদ সবার আগে সংগ্রহ করে তা সর্বস্তরের মানুষকে জানানোর জন্য সর্বদা ব্যতিব্যস্ত থাকেন। এসব করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক মৃত্যুর মুখে পতিত হন। ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক জীবন দিয়েছেন। শুধু ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ নয়, বর্তমান বিশে^ যেকোনো যুদ্ধ বা যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যে অনেক সাংবাদিককে জীবন দিতে দেখা গেছে। সত্য সংবাদ কোনো পক্ষের প্রতিকূলে গেলে সে পক্ষ সাংবাদিকদের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেয়। আবার মহামারিতেও সাংবাদিকদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

বৈশি^ক মহামারি করোনাকালে দেখা গেছে, সবাই যখন জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ঘরে বন্দি অবস্থায় থেকেছে সংবাদকর্মীরা তখন সংবাদ সংগ্রহের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহর-বন্দর-গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আমরা দেখেছি সাংবাদিকরা আহত হয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন। এসব ঘটনা গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি বাড়িয়ে দেয়। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে এমন পেশাদারিত্ব বজায় রেখে চলা সম্ভব নয়। চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এখন দেখা দরকার পেশাদারিত্ব ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যাঁরা সাংবাদিকতা করছেন তাঁরা সংখ্যায় বেশি না কি সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে যারা অনৈতিক সুবিধা ভোগ করছেন তাদের সংখ্যা বেশি? আসলে এ প্রশ্নের মীমাংসা করা কঠিন। কারণ নৈতিকতা একটি মাত্রাগত বিষয়। সম্পূর্ণ নৈতিক ও সম্পূর্ণ অনৈতিক- এই দুই চরম অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা সবাই বিভিন্ন মাত্রায় নৈতিক কিংবা অনৈতিক। ফলে নৈতিকতার মানদণ্ড থাকলেও তার মাধ্যমে কাউকে নিরেট নৈতিক কিংবা অনৈতিক বলা যায় না। একজন সংবাদকর্মী দশটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার পাশাপাশি উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুইটি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করলে তার এ কাজকে মোটেও নৈতিক বলা চলে না। ভুলের সঙ্গে নৈতিকতার বিষয়টি যুক্ত না থাকলেও উদ্দেশ্যমূলক ভুলের সঙ্গে নৈতিকতার বিষয়টি যুক্ত করতেই হবে।

সমাজের সকল পেশায় নৈতিকতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ কথা স্বীকার করে নিয়েও বলতে হয় সাংবাদিকতা পেশায় নৈতিকতার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কারণ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষে তথ্য বা সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন হলে তা সামষ্টিক ক্ষতির কারণ হয়। অনেক সময় সংবাদের সত্যতা প্রমাণ করার আগেই জান-মালের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কারো দ্বারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত কিংবা ধর্ম অবমাননার ভিত্তিহীন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ কথিত অবমাননাকারীর সম্প্রদায়ের ওপর বর্বর নির্যাতন চালাতে পারে। অতীতে এ ধরনের বর্বরতা ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর্যায়ে পৌঁছে যেতে দেখা গেছে। সুতরাং ভিত্তিহীন সংবাদ অনেক সময় সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে।

একজন সংবাদকর্মীকে এ বিষয়গুলো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হয়। কিন্তু সবাই তা উপলব্ধি করে না। গত ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর দুঃখের সঙ্গেই লক্ষ করা গেছে কিছু সাংবাদিক গা ঢাকা দিয়েছেন। এরাই দুর্দণ্ড প্রতাপে সরকারের দালালি করেছেন। অনৈতিকভাবে সরকারের নিকট থেকে সুবিধা নিয়েছেন। ফলে নতুন করে সাংবাদিকতা পেশায় নৈতিকতার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে সব মানুষ নিজের তথ্যভান্ডার বাড়াতে চায়। আর এই তথ্যের প্রধান উৎস হলো গণমাধ্যম। তাই গণমাধ্যমে নিয়োজিত সাংবাদিক ও ব্যক্তিবর্গ তাদের পেশাগত নৈতিক অবস্থান ঠিক রেখে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন- এটাই সকলের প্রত্যাশা।

আলী রেজা: কলাম লেখক, কলেজ শিক্ষক ও গবেষক

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের চার যুদ্ধবিমান
নিজের ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বিচার চাইলেন রাশেদ খান
এসপি পদমর্যাদার ১৪ কর্মকর্তার বদলি
হঠাৎ 'আত্মগোপনে' পালং মডেল থানার পরিদর্শক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা