সংস্কারের নামে নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে মানুষ সন্দেহ করবে: সরকারকে টিপু
সফলতার নামে, সংস্কারের নামে নির্বাচনের সময় দীর্ঘায়িত করা হলে মানুষ বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সন্দেহ করবে বলে মনে করিয়ে দিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। একইসঙ্গে তিনি এই সরকারের সফলতা কামনাও করেছেন।
বুধবার বিকালে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নে এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন টিপু।
ইউনূস সরকারের কাছে তার প্রশ্ন, ‘কী এমন ঘটনা আছে যে, নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করতে পারছেন না?’
বিগত সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল উল্লেখ করে টিপু বলেন, ‘গণতন্ত্রের একটি উপাদান অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, যা কেড়ে নিয়েছিল শেখ হাসিনা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়নি। গ্রামের পর গ্রাম পুলিশ মাইকিং করে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এখন জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর, তারা তো ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনে তাদের লোক দিয়ে ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং এটা যদি তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ঘোষণা না দেন, সময়ের কথা না বলেন, তাহলে তো মানুষ বিষয়টা ভিন্নভাবে দেখবে। জনগণ তাদের পছন্দের দলকে ভোট দেবে। এটা কেন পরিষ্কার করছেন না।’
টিপু বলেন, ‘গত জুলাই মাসের গণহত্যা আর আগস্টে আমাদের আন্দোলনের বিজয়ের পটভূমি রচনা করেছিলেন দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে তারেক রহমান। বিএনপির লাখো লাখো নেতাকর্মীকে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি, এইবারই শেখ হাসিনার পতন হবে। কারণ আমাদের সন্তানেরা, ছোট ভাইয়েরা রাস্তায় নেমেছে। দুরন্ত সাহস নিয়ে নেমেছে, তাদের বুকে রক্ত ঝরছে, তারপরও তারা তাদের বন্ধুকে পানি খাওয়াতে মুগ্ধর মতো ছুটে বেড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রংপুরে আবু সাঈদ সাহস করে শেখ হাসিনার পুলিশের গুলি বুকে নিয়েছে, জীবন দিয়েছে। কত রক্ত, কত আত্মদান, কত শহীদি লাশ আমরা দেখেছি। এই রক্ত লাশের বিনিময়েগণতন্ত্রের পথের যাত্রার যে পরিবেশ আমরা কিনেছি, তা কখনো বৃথা যেতে পারে না।’ টিপু বলেন, ‘আজকে যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে, উনি একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। ওনাকে প্রত্যেকে সমর্থন দিয়েছেন, তার নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন। কারণ এই বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষটি দেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছেন। তাকে ১০ তলা বিল্ডিংয়ে লিফট বন্ধ রেখে হাঁটিয়ে তোলা হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার আগুন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা যাকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করতেন, তাকেই ধ্বংস করার চক্রান্ত করতেন। তার চক্রান্তের প্রথম শিকার দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। তাকে জরাজীর্ণ কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছিল বছরের পর বছর। তার চোখে অপারেশেন, হাঁটুতে অপারেশন, অনেক জটিল রোগ। তাকে তিলে তিলে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।’
(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/জেবি/এজে)