কারাগারে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করলেন শাহরিয়ার কবির

কারাগারে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করলেন একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। রবিবার ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার রিমান্ড শুনানিকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় আসামি শাহরিয়ার কবিরের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানিতে বলেন, এই মামলায় শাহরিয়ার কবির এজাহারভুক্ত ৩৯ নং আসামি। আসামিদের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। নিহত হয় রফিকুল ইসলাম। এই হত্যার সঙ্গে আসামি জড়িত। মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানিতে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে মামলায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি একজন শিক্ষক, কলামিস্ট। সারাজীবন শিক্ষকতা করেছেন। আসামির হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, পায়ে রড লাগানো। তিনি অসুস্থ ব্যক্তি। যেহেতু তিনি অসুস্থ, তাই এ মামলার জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন হলে তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
এরপর আইনজীবী বলেন, শাহরিয়ার কবির কিছু বলতে চান। আপনি অনুমতি দিলে। পরে আদালত অনুমতি দিলে শাহরিয়ার কবির বলেন, আমি এর আগে রিমান্ডে গিয়েছি। হুইল চেয়ার ছাড়া হাঁটতে পারি না। আমার পায়ে সমস্যা। মামলার বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না। তবে সঠিক ভাবে আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গত চার মাস ধরে আমি অসুস্থ। আমি এখনো চিকিৎসার জন্য কারা হাসপাতালে রয়েছে। কাশিমপুর কারাগারে আমার ট্রিটমেন্ট হচ্ছে না। আমি সর্দি, কাশি, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত। আমার ভালো ট্রিটমেন্টের জন্য একটু পুলিশ সুপারকে বলে দিতেন, তাহলে ভালো হতো।
এসময় এক বিএনপিপন্থী আইনজীবী চিৎকার করে বলেন, অনেক বলেছেন, আর না। থামেন এবার থামেন। এরপর পিপি বলেন, যখন বাইরে কোনো মিছিলে তাকে দেখি, তখন তিনি সুস্থ থাকেন। আদালতে আসলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এগুলো সব টালবাহানা।
জবাবে শাহরিয়ার কবির বলেন, গত চার মাস আমাকে বাইরে কোথায় দেখেছেন। কোন ছবি/ভিডিও দেখাতে পারবেন। তবে এই প্রশ্নে জবাব দেননি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। পরে আদালত তার দুদিনের রিমান্ডের এবং কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার আদেশ দেন।
(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/আরজেড)

মন্তব্য করুন